• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি আজ

ফাইনাল জুজু তাড়াতে পারবেন মাশরাফিরা?


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৭, ২০১৮, ১০:১১ এএম
ফাইনাল জুজু তাড়াতে পারবেন মাশরাফিরা?

ঢাকা : ২০০৯, ২০১২ ও ২০১৬। তিন বছরে তিন ফাইনাল। ভেন্যু একই, মিরপুর। চিত্রও এক-শুধুই পরাজয়। নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকা ট্রফিতে চুমু আঁকা হয়নি, যা নিয়ে বারবার উল্লাসে মেতেছে প্রতিপক্ষ। টাইগার শিবিরে হৃদয় বিদীর্ণ কষ্ট আর হাহাকার। ত্রিদেশীয় কিংবা বহুজাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এমন চিত্র দেখা গেছে তিনবার। দুরন্ত দুর্বারে ফাইনালে উঠলেও ট্রফি থেকেছে নাগালের বাইরে। সেই মাশরাফিদের সামনে আবারো প্রথমবারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জেতার সুযোগ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) মিরপুরে ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ফাইনাল জুজু তাড়াতে পারবে তো মাশরাফি বাহিনী?

বৈশ্বিক কিংবা মহাদেশীয় কথা তোলাই থাক। ত্রিদেশীয় সিরিজেই এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখকর স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। সেটা দেশ কিংবা বিদেশের মাটিতেই। ঘরের মাটিতে যে তিনবার সুযোগ এসেছিল, বিরূপ ভাগ্যের চক্রে তা ম্লান, ভক্ত-সমর্থকদের চোখে জল।

এমন চিত্র প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ই পেয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেট হারিয়েছিল ১১৪ রানেই। ৩০ বলে যখন শ্রীলঙ্কার দরকার ৩৫ রান, পেসার রুবেল ২ ওভারে দিয়ে বসলেন ৩২ রান!

দ্বিতীয়টি ছিল ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল-যে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল মাত্র ২ রানে। পরাজয়ের কষ্টে সাকিবকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন মুশফিক, সঙ্গে পুরো বাংলাদেশও। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টির এশিয়া কাপের ফাইনালও খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারত। যদিও ম্যাচটি ভারত জিতেছিল একতরফাভাবে। ঝড়-বৃষ্টিকবলিত ম্যাচটা নেমে এসেছিল ১৫ ওভারে। বাংলাদেশের দেওয়া ১২১ রান ভারত টপকেছিল ২ উইকেটে।

তিনটি ফাইনাল, তিনটি দুঃখগাথা। এবার কী হবে? নয় বছর আগের মতো এবারো যে প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কা। বড় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। যেখানে লঙ্কানদের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। অথচ এই শ্রীলঙ্কাকেই টাইগার শিবির প্রথম সাক্ষাতে হারিয়েছিল ১৬৩ রানের রেকর্ড ব্যবধানে। কিন্তু ফাইনালের আগে তেড়েফুঁড়ে জেগে উঠেছে শ্রীলঙ্কা, যা আজ ফাইনালে মাশরাফিদের জন্য আতঙ্কেরই।

শেষ ম্যাচের স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে ফাইনালে মনোযোগ বাংলাদেশের। যেখানে জয়ই মুখ্য, বাকি সব তুচ্ছ। আর তাই সতীর্থদের ভয়ডরহীন আর ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, ‘শেষ ম্যাচে এভাবে হারব, তা ভাবিনি। তবে তা নিয়ে বসে থাকলে হবে না।

ফাইনালটা জিততে চাই। মানসিকভাবে সবাই প্রস্তুত।’ স্কোয়াডে পরিবর্তন আসতে পারে আজ। এনামুল হক বিজয়ের জায়গায় ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হতে পারেন ইমরুল কায়েস। বাকিটা আগের মতোই।

অন্যদিকে শেষ ম্যাচের দাপুটে জয় টনিক হিসেবে কাজ করছে লঙ্কান শিবিরে। ফাইনালে জিততে মরিয়া হাথুরু শিবির। প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের কণ্ঠে প্রচ্ছন্ন হুমকি, ‘যদিও হোম গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ, তবে শেষটা রাঙাতে চাই আমরাই।’

দুই শিবিরের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে শেষ হাসি, কারাই বা পুড়বে কষ্টের জ্বালায়, তা সময়ই বলে দেবে। অপেক্ষা এখন রোমাঞ্চকর একটি ফাইনাল দেখার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!