• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে রাশিয়ান যৌন কর্মীদের রমরমা বাণিজ্য


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৫, ২০১৮, ০৫:৩৫ পিএম
বিশ্বকাপে রাশিয়ান যৌন কর্মীদের রমরমা বাণিজ্য

ঢাকা: বিশ্বকাপ মানে কোটি কোটি মানুষের সমাগম। খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আয়োজক ছাড়াও একেকটি খেলায় ৫০ হাজারের মত দর্শক থাকে স্টেডিয়ামে। এমন মহাযজ্ঞে খেলার টিকিটের পর খাবার, হোটেল কক্ষ ছাড়া সবচেয়ে চাহিদা থাকে যৌনকর্মীদের। রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলও কপাল খুলে দিয়েছে যৌনকর্মীদের। বিশাল রাশিয়ার নানা প্রান্তের যৌনকর্মীরা তো আছেই বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ থেকেও নানাভাবে জড়ো করা হয়েছে যৌনকর্মীরা।

আয়োজক রাশিয়ার প্রায় তিন লাখ যৌনকর্মী অতিথিদের সঙ্গ দিচ্ছেন। এত দিন রাশিয়ায় যৌনকর্মীদের বাজার মন্দ ছিল। বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেই বাজার খুলে গিয়েছে। বিশ্বকাপের জন্য রুশ সরকার যৌন পেশায় থাকা কড়া নিষেধাজ্ঞার নিয়ম ঢিলেঢালা করেছে। এখনই তাদের উপার্জন করার মোক্ষম সময়। তবে বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতো নয় রাশিয়া। এই দেশে ডেটিং অ্যাপ থেকে শুরু করে যৌন পেশা, সবকিছুতেই বাধানিষেধ প্রবল। কিন্তু বিশ্বকাপের বাজারে বহু ফুটবল ভক্ত রাশিয়ায় পা রেখেছে। আর তাঁদের কথা ভেবে এই সব ক্ষেত্রেও বাধা নিষেধের ব্যাপারটা শিথিল করে দেয়া হয়েছে।

মায়াচকি নামের এক যৌনকর্মী বলছিলেন, আগে তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেই পুলিশ এসে বারবার প্রশ্ন করত। এখন ওরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়। জানি এটা সবসময়ের জন্য নয়। কিন্তু বিশ্বকাপ আমাদের জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সে কারণে ধন্যবাদ দিতেই হবে। আমরা খুশি।

সিলভার রোস নামের এক গ্রুপ পরিসংখ্যান দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাশিয়ায় প্রায় তিন লক্ষ যৌনকর্মী এই মুহূর্তে খুব খুশি। তারপরও সমস্যা রয়েই গেছে। আর সেটা রাশিয়া সরকারের তরফ থেকে। তাদের তরফ থেকে রাশিয়ার যৌনকর্মীদের কাছে নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর যাই করো, বিদেশ থেকে আশা ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। কেন এমন সিদ্ধান্ত?

রাশিয়ায় মহিলা, শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্লেৎনোভা সাফ বলে দিয়েছেন, ফুটবলপ্রেমীরা আসবেন। যৌনকর্মীদের সঙ্গে থাকতেও পারেন। কিন্তু তারপর? যে সব সন্তানের জন্ম হবে, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? রাশিয়ার মতো দেশে ওদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই দায়িত্ব তখন কে নেবে?

এরআগে ১৯৮০ সালে মস্কোয় সামার অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় অনেক রুশ মহিলাই বিদেশিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। ফলে কয়েক হাজার অবৈধ শিশু জন্ম নেয়। তাদেরই বলা হয় ‘চিলড্রেনস অব অলিম্পিক্স’। রুশ সমাজে তাদের প্রতি বৈষম্য নতুন কিছু নয়। কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের প্রতি ভেদাভেদ আরও বেশি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!