• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাম রহিমকে নিয়ে মুখ খুললেন হানিপ্রীত (ভিডিও)


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  অক্টোবর ৪, ২০১৭, ১১:৩৯ এএম
রাম রহিমকে নিয়ে মুখ খুললেন হানিপ্রীত (ভিডিও)

ঢাকা: ধর্ষণের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের সাথে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন তার কথিত ‘দত্তক কন্যা’ হানিপ্রীত। রাম রহিমের ৩৮ দিন পর মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) হরিয়ানা পুলিশ চণ্ডীগড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পরই তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে কথা বলেন।   

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিমকে নিয়ে দেশ ছাড়ার চক্রান্তও করেছিলেন এই অভিযোগে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, এর পেছনেও হানিপ্রীতের হাত ছিল বলে অভিযোগ।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বহুল আলোচিত নারী হানিপ্রীত ইনসান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, বাবা ও মেয়ের পবিত্র সম্পর্ককে কেউ কেউ কীভাবে নোংরা চোখে দেখে। তিনি বলেন, তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

গণমাধ্যমে কথা বলছেন হানিপ্রীত

‘বাবা’ রাম রহিমকে যেদিন পঞ্চকুলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত। কিন্তু রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই পঞ্চকুলায় চূড়ান্ত তাণ্ডব চালায় ডেরার ভক্তরা। অভিযোগ, সেই তাণ্ডব হানিপ্রীতের নির্দেশেই হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে হানিপ্রীত বলেন, ‘আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে এখন নিজেকেই নিজে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। চূড়ান্ত মানসিক চাপে রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না।’

কান্নাভেজা চোখে হানিপ্রীত বলেন, ‘আমি একা একটি মেয়ে। আর ওখানে এত নিরাপত্তাব্যবস্থা। আমাকে অনুমতি না দিলে কীভাবে আদালত চত্বরে গেলাম! কীভাবেই বা বাবার সঙ্গে হেলিকপ্টারে উঠতাম! তারাই আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর আমি ভীষণ ভেঙে পড়ি। কীভাবে আমি জড়িত থাকব বলেন।’

রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানান কথা এসেছে। এসব কথা নিয়ে হানিপ্রীত খুবই হতাশ। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, বাবা-মেয়ের এমন পবিত্র সম্পর্ককে কোথায় নামানো হয়েছে? আমি জানতে চাই, একজন বাবা তার মেয়ের মাথায় হাত রাখে না? একজন মেয়ে তার বাবার কাছে যায় না?’ 

তবে, হানিপ্রীত তার সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্তকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত আগস্টের শেষ দিকে ডেরার প্রধান রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার দিন থেকেই পলাতক হানিপ্রীত। শোনা যায়, সীমান্ত পেরিয়ে তিনি নেপালে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু হানিপ্রীতের কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টে তার আইনজীবী ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটরি জামিনের আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেন। এ ব্যাপারে সাক্ষাৎকারে হানিপ্রীত বলেন, ‘আমি কোথাও যাইনি। নেপাল তো নয়ই। ভারতেই ছিলাম।’

গ্রেপ্তারের পর হানিপ্রীত

রাম রহিমের ডেরার নারী যৌন হয়রানি এবং অন্যান্য গল্প সম্পর্কেও কথা বলেন হানিপ্রীত। তিনি বলেন, ‘এক চিঠির ভিত্তিতে কীভাবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়? আমার বাবা নির্দোষ এবং তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। ডেরা সচ সউদায় কোনো নারীকে নির্যাতন করা হয়নি। তারা (আদালত) অন্য নারীদের মতামত নেননি।’

৩৬ বছরের হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা তানেজা। বিশ্বাস গুপ্ত নামে একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। স্বামী ছিলেন রাম রহিমের ভক্ত ও ডেরা সচ সউদার একনিষ্ঠ কর্মী। রাম রহিমের নজরে পড়তে প্রিয়াঙ্কার দেরি হয়নি। এরপর ক্রমে ক্রমে তিনি রাম রহিমের ঘনিষ্ঠতম হয়ে ওঠেন। বিশ্বাস গুপ্তর অভিযোগ, ডেরায় তিনি নিজে রাম রহিমের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছেন। 

ভিডিও: 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!