• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল ঢাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩০, ২০১৮, ০৩:৫৫ পিএম
শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল ঢাকা

ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দরে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা থেকে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন শেওড়া রেল লাইনের উপর শিক্ষার্থীরা বসে পড়ায় রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় শুধু রেল যোগাযোগই নয় শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের সড়ক যোগাযোগ। সকাল থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে নাকাল সাধারণ মানুষ।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি আদায়ে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নৌমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছে।

সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টায় আন্দালনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী শাহীন সিফাত সংবাদ সম্মেলন করে এ আলটিমেটাম ঘোষণা করেন।

৯ দফা দাবির মধ্যে আছে, বোপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং ঘাতক চালকদের ফাঁসির বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে, নৌপরিবহন মন্ত্রীর নিঃশ্বর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, এমইএস ফুট ওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়ার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে, শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না এবং বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও বাটা সিগন্যালের আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। অন্যদিকে সকাল থেকে বিএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা শাহীন কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা নৌমন্ত্রীর রোববার দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানান। শিক্ষার্থীদের দাবী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রীকে এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

সড়ক অবরোধে রাজধানীর বিমানবন্দর, মিরপুর, মহাখালী, নিউ মার্কেট, পল্টন, শাহবাগ, রামপুরা, ফার্মগেট ও ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। যানজট প্রধান সড়ক ছাড়িয়ে এলাকার অলিগলি পর্যন্ত ছেয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য বাসা থেকে বের হওয়া যাত্রীরা পড়েছেন তীব্র যানজটে। যাত্রীরা বলছেন, টানা দু-তিন ঘণ্টা ধরে বাসে বসে থাকলেও মিলছে না গন্তব্যের দেখা। এমনকি দেড় দুঘণ্টা ধরে বাসও নড়াচড়া করছে না বলে হতাশা জানান যাত্রীরা।

রোববার দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে হোটেল রেডিসন এলাকায় জাবালে নূর বাসের চাপায় রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ছাড়া বাসচাপায় আহত হন অন্তত ১০ জন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!