• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্ট্রাইকার মিলাতে পারছেন না সেন্টফিট


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬, ১০:২৭ এএম
স্ট্রাইকার মিলাতে পারছেন না সেন্টফিট

ঢাকা পর্বের বিপিএল খেলা শেষেও স্ট্রাইকার মিলাতে পারেন নি জাতীয় দলের কোচ সেন্টফিট। এবার সিলেট পর্বের খেলা। কোচের দৃষ্টি এখন সে দিকে। ভুটানের বিপক্ষে ফিরতি খেলার আগে স্ট্রাইকার সমস্যার সমাধান খুঁজছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের এই ফুটবল কোচ।

আগামী ১০ অক্টোবর থিম্পুতে ভুটানের সঙ্গে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফের ফিরতি খেলায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম লেগের খেলায় ভালো সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় গোলশূন্য ড্রয়ে বাধ্য হয় বাংলাদেশ দল।

পেশাদার লিগে এখন পর্যন্ত ৫টি করে গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে আছেন পাঁচ বিদেশি সিও জুনাপিও, স্যামসন ইলিয়াসু, ওয়েডসেন আনসেলমে, এনকোচা কিংসলে ও সানডে চিজোবা।
স্থানীয়দের মধ্যে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তৌহিদুল আলম সবুজ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া সংঘের তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদের গোল ৪টি করে। এছাড়াও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির মেহবুব হাসান নয়নের গোল ৩টি। সেইন্টফিট এ প্রসঙ্গে বিডিনিউজকে দুই তৌহিদের চেয়ে নয়ন ও লিগের সর্বশেষ ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন গোল করা হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান। এরপরও ভুটানের বিপক্ষে খেলাটি ঘনিয়ে আসার মুখে স্ট্রাইকিং নিয়ে দুর্ভাবনা কমছে না তার। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্ট্রাইকার দরকার। জাফর (ইকবাল), রুবেল (মিয়া), জুয়েল (রানা) ভালো খেলছে কিন্তু তারা সবাই উইঙ্গার। আসলে আমাদের ভালো উইঙ্গার আছে কিন্তু দরকার স্ট্রাইকারের। ভালো খেলে গোল না পেলে তো হবে না। ফুটবলে জিততে হলে গোল লাগবে। নয়ন আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করেছে। স্থানীয়দের মধ্যে ছেলেটা সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারে। শেষ ম্যাচে হেমন্তের খেলায়ও আমি খুশি। কেবল গোল করা নয়, সে লড়াই করেছে, বলের জন্য ছুটেছে, পাসগুলোও দিয়েছে ভালো। তবে তাকে নিয়মিত ভালো খেলতে হবে।’

মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচে হেমন্ত চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে খেলেন। সতীর্থদের আক্রমণ সাজিয়ে দেওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের রক্ষণে কাঁপন তোলা এই মিডফিল্ডার লিগে গোলের খাতা খুলেছেন এ ম্যাচেই। মালদ্বীপের বিপক্ষের প্রীতি ম্যাচে একাধিক সুযোগ নষ্ট করা ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনিও গোল পেয়েছেন লিগে। লিগে হেমন্ত ও রনির পাশে একটি করে গোল হলেও কিছুটা আশা দেখছেন সেইন্টফিট। স্ট্রাইকিং সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফরোয়ার্ড এনামুল হককে ক্যাম্পে ডাকার কথাও ভেবে রেখেছেন বেলজিয়ামের এই কোচ। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্লাবের হয়ে গোল করায় হেমন্ত ও রনিকে নিয়ে আমি খুশি। এটা জাতীয় দলের জন্য ইতিবাচক। ভুটান ম্যাচের ক্যাম্প শুরুর আগে লিগের এখনও কয়েকটা ম্যাচ আছে; হয়ত তারা আরও গোল করবে। আশা করি অন্যরাও পরের ম্যাচে গোল পাবে। যদিও এনামুল (লিগে ২ গোল) শেখ জামালের হয়ে স্ট্রাইকিং পজিশনে খেলে না; তবে তাকেও আমি ক্যাম্পে ডাকতে পারি। কেননা, আমাদের গোলদাতা দরকার।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!