• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএমএমইউতে উৎসুক জনতার ভিড়


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৫, ২০২০, ০৩:৫৯ পিএম
বিএসএমএমইউতে উৎসুক জনতার ভিড়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। সেখানে ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। বিএনপির সিনিয়র নেতারা কর্মীদের সরিয়ে চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৩ টা ৩৫ মিনিটে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

এর আগে খালেদা জিয়াকে নিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের সদস্যরা বিএসএমএমইউতে পৌছান। সেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ নেতাকর্মীরা আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন।  খালেদা জিয়া সাজা স্থগিতের আবেদনের ফাইলে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে কারা অধিদফতরে পৌঁছায়। পরে জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী সেই চিঠি বিএসএমএমইউতে নিয়ে যান।

মুক্তির শর্ত হিসেবে বাসায় অবস্থান করতে হবে খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসা নিতে হবে দেশেই। সাজা মওকুফকালীন ছয় মাস তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি আরো বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সরকারি এ সিদ্ধান্ত জানার পর থেকে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ও খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। বুধবার সকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল তিনি মুক্তি পাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়ার আদেশের নথি বুধবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে ওই নথি আমাদের কাছে এসেছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষকে পাঠাবে। এর পরই ওই ফাইল কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া। প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।

খালেদার জামিনের জন্য আইনজীবীরা গত দুই বছরে বহুবার আদালতে গেছেন, কিন্তু জামিন হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে মার্চের শুরুতে খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার খবর আসে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!