ঢাকা : বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। বাঙালির অমোঘ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকেই ঘর ছেড়েছিল মানুষ। মৃত্যুর থাবায় বুক মেলে দিয়ে কোটি জনতা শুরু করে স্বাধীনতার লড়াই।
তারপর টানা ৯ মাস সেই প্রাণপ্রিয় নেতার নির্দেশেই চলে মুক্তির সশস্ত্রযুদ্ধ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয় দেশ। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় আরো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র-‘বাংলাদেশ’। যার স্রষ্টা এক চিরভাস্বর মুখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলছেন তাঁর আরাধ্য স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা চুপ করে বসে ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু এটা জানতেন।
যে বাঙালির জন্য তাঁর জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন, ১৪টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন, সেই বাঙালিরা তাঁকে হত্যা করতে পারবে এটা কোনোদিনই বিশ্বাস করতে চাননি জাতির পিতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেক বন্ধু রাষ্ট্রের প্রধানরা বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন।
কিন্তু জবাবে বঙ্গবন্ধু সবাইকে শুধু একটা কথাই বলেছেন-‘চিন্তা করবেন না, কোনো বাঙালি আমার গায়ে হাত তুলবে না। যদি তুলে, চাদর ঘাড়ে নিয়ে গ্রামে চলে যাব। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার লোক শেখ মুজিব না।’ কিন্তু বেইমান-হায়েনার দল জাতির পিতার সেই বিশ্বাসের ওপরই কুঠারাঘাত করেছে।
সেই কালজয়ী মানুষকেই একদিন, এই আগস্টেই নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। তাঁর রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার পবিত্র মাটি। বাঙালির ইতিহাসে যোগ হয় এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙালি কাঁদে। কাঁদায় বিশ্ববাসীকে। বুকের খুনে বঙ্গবন্ধু রচনা করেন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক কালজয়ী ইতিহাস।
বাঙালি জাতির বেদনাবিধুর শোকের মাস আগস্টের আজ নবম দিন। পুরো দেশই যেন শোকে মুহ্যমান। শোকের নানা অনুষ্ঠানে কৃতজ্ঞ জাতি শ্রদ্ধানবতচিত্তে স্মরণ করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই







































