• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

চাহিদা বাড়ছে শিশু ‘সেক্স ডলের’


ফিচার ডেস্ক আগস্ট ৬, ২০১৭, ১০:৫৯ এএম
চাহিদা বাড়ছে শিশু ‘সেক্স ডলের’

ঢাকা: দিন যাচ্ছে মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটছে। এটা যেমন কোনো সরকারের পক্ষে তাৎক্ষণাত পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তেমনি এই রুচির ফলে সমাজে যে প্রভাব পড়ছে; সেটাও তারাতারি নিয়ন্ত্রণও করাও কঠিন। কারণ, পশ্চিমা বিশ্বে মানুষ দিন দিন পরিবার প্রথা থেকে সরে আসছে, এর ফলে মাঝ বয়সী মানুষ অবসাদে ভুগছে। তখন তারা কাছে স্ত্রীকে না পেয়ে সিলিকনের তৈরি সেক্স ডল অথবা যৌনপল্লীর প্রতি ঝুঁকছে। 

ইতোমধ্যেই সেক্স ডলগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা প্রথম দিকে ব্রিটেন সরকার বাঁধা না দিলেও আমাদানি নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। কিন্তু, এটা যে এক সময় সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, তখন চিন্তা না করলেও এখন বেশ ভোগাচ্ছে দেশটির প্রশাসনকে। কারণ, সেক্স ডলে আকার এখন শিশুর মত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সরকারকে জানিয়েছে এটা সমাজে শিশু নির্যাতন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। তাই তো এখন বেশ চিন্তায় তেরেসা মে সরকার। 

শিশুর মতো দেখতে সিলিকন দিয়ে তৈরি এই সেক্স ডলগুলো, প্রাকৃতিকের মত আনন্দ না দিতে পারলেও এর প্রতি ঝোক বেড়েছে পশ্চিমাদের। শিশু আকৃতির সেক্স ডল যারা আমদানি করছেন, তাদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। ঐতিহাসিক এক রায়ে ৭২ বছর বয়সী এক স্কুল গভর্নরের শিশু সেক্স ডল আমদানিকরাকে ‘অশ্লীল’ ও ‘কুরুচিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে আদালত।

এরপরই দেশটির দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। সেক্স ডল বিষয়ে ব্রিটেনে কোনো আইন নেই। কিন্তু ‘অশ্লীল’ বা ‘কুরুচিপূর্ণ’ জিনিস আমদানি করায় আছে কড়াকড়ি। এনসিএর শিশু নির্যাতন রোধ ও অনলাইন সুরক্ষা দল জানিয়েছে, শিশু সেক্স ডল তুলনামূলকভাবে একটি নতুন ঘটনা। 

এক বিবৃতিতে দলটির হ্যাজেল স্টুয়ার্ট বলেন, ‘আমরা জানি এই ঘটনা শিশুদের বিরুদ্ধে অন্য অপরাধের ইঙ্গিত দেয়। মামলার বাদির কাছে শিশু নির্যাতনের বেশকিছু নোংরা ছবিও পাওয়া গেছে। এই ধরনের জিনিস যারা আমদানি করছেন তাদের জেনে রাখা উচিত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জাল গুটিয়ে আনছে।’

যুক্তরাজ্যের সীমান্তরক্ষা বাহিনী দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাস থেকে তারা এ ধরনের ১২৩টি পুতুল আটক করেছে। এই পুতুলগুলো সিলিকন দিয়ে তৈরি, ওজন ২৫ কেজির মতো এবং যৌনকাজ করার মতো করেই তৈরি করা। এর বেশিরভাগই তৈরি হয়েছে চীনে এবং কেনা হয়েছে অনলাইনে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সাত জনের বিরুদ্ধে সেক্স ডল আমদানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে, এর মধ্যে একজনের হয়েছে কারাদণ্ড। এই ধরনের পুতুলের উৎপাদন, বিতরণ এবং নিজের কাছে রাখার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এনসিএ।

‘শিশুর আকৃতির সেক্স ডল ব্যবহার করলে সত্যিকার বাস্তব জীবনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধ হবে, এমন ধারণার পক্ষে এখনও কোনো যুক্তি মেলেনি’, এক বিবৃতিতে এমনটা মন্তব্য করেছেন এনএসপিসিসির উন্নয়ন বিভাগের প্রধান জন ব্রাউন৷

‘বরং এমনটা হতে পারে যে এই ধরনের পুতুল বা সরঞ্জাম ব্যবহারের ফলে এমন ব্যবহার তাদের কাছে এক সময় স্বাভাবিক লাগতে শুরু করবে। তখন তারা বাইরে গিয়ে সত্যিকার শিশুদের সাথেও এমন ব্যবহার করা শুরু করবে। যারা কুরুচিপূর্ণ ছবি দেখে, তাদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়।’

শিশুদের জন্য দাতব্য সংস্থা বার্নার্ডোও এ ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। ‘বার্নার্ডোর বিশেষজ্ঞরা যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তারা জানেন শিশুদের কী ভয়াবহ অবস্থার শিকার হতে হয়’, একই বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী জাভেদ খান।

উল্লেখ্য, জীবন্ত নারীর মত অনুভূতি না থাকলেও সেক্স ডল প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। সম্প্রতি এই সেক্স ডলের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। এর প্রতি আগ্রহ এতটা বেড়েছে যে সেক্স ডলকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন কেউ কেউ। ৬১ বছর বয়সী জাপানি সেনজি নাকাজিমা তাদের একজন। বেশ কয়েক মাস হলে দেশটির রাজধানী টোকিওতে একটি বাসাভাড়া নিয়ে সংসার করছেন 

এর আগে রোবটকে বিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন চীনের জিজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা ঝেং জিয়াজিয়া (৩১)। পেশায় রোবট বিশেষজ্ঞ ঝেং বছরখানেক আগে রোবটটি তৈরি করেন। ঠিক মানুষের মতো দেখতে সুন্দরী রোবটটির নাম দেন ইংইং। বুদ্ধিমতী ইংইং কিছু চীনা অক্ষরও পড়তে পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!