• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুকুর খাল-বিল ও ডোবায় গিলে খাচ্ছে এলজিইডির সড়ক


চাঁদপুর প্রতিনিধি অক্টোবর ২৯, ২০২০, ০৪:০৬ পিএম
পুকুর খাল-বিল ও ডোবায় গিলে খাচ্ছে এলজিইডির সড়ক

চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এলজিইডির পাকা সড়কপথ পুকুর আর খাল-বিল ও ডোবায় ধসে পড়ছে। সরকারি বিধি না মেনে সড়ক ঘেঁষে ব্যক্তিমালিকানায় পুকুর খনন আর সড়কের পাশে পুকুর এবং খাল-বিল থাকায় সড়কের এই ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে যানবাহনের সুষ্ঠু ও সহজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে ও প্রতি বছর গচ্চা যাচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। এর কারণ হিসেবে অসময়ে (বর্ষা মৌসুমে বা শরতের শুরুতে) পুকুরসহ খাল-বিল ও ডোবার পানি নিষ্কাশন এবং সড়কে ওভার লোডের যানবাহন চলাফেরা করায় সড়কগুলো অসময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান উপজেলা এলজিইডি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকৌশলী) মঞ্জুরুল আলম। তবে এর সঙ্গে সড়কে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারকেও দায়ী করছেন সচেতনমহল।

জানা গেছে, ২০১৯-২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, হাজীগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি’র ৫৬৮.৯৭ কিমি সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ২০০ কিমি পাকাকরণ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরো ৫০ কিমি পাকাকরণ সড়ক যোগ হবে। ফলে কাঁচা সড়ক থাকবে ৩৪৫.৯৫ কিমি। কাঁচা সড়ক বাদে উল্লিখিত পাকা সড়কের প্রায় ১৫ কিমি সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে প্রায় ৯ কিমি।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সড়কগুলো ঘেঁষে বহু সংখ্যক পুকুর ও খাল-বিল রয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের প্রায় সবটুকুই পুকুর ও খাল-বিলের অংশ। এসব সড়কের অনেক জায়গা পুকুরে ধসে গেছে। আবার কোথাও গাছ উপড়ে পড়ে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই সড়কগুলোর মধ্যে নতুন সড়ক ও সংস্কারকৃত সড়কও রয়েছে, যা গত ক’মাস আগে মেরামত করা হয়েছে।

এদিকে সড়ক রক্ষায় গাইডওয়াল নির্মাণে অনেক পুকুর মালিক বাধা দিচ্ছে বলে জানা যায়। হাজীগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি থেকে গত ক’বছরে অনেকগুলো গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ হয়েছে। নতুন উদ্যোগে আরো কাঁচা সড়ক পাকাকরণ করা হচ্ছে এবং হবে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলো পাকাকরণ হবে। যদি নতুন করে নির্মাণের আগে পুকুর বা খাল-বিলের পাড়ের সমাধান করা না হয়, তাহলে প্রতি বছর সরকারকে বর্তমান সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ টাকা গচ্চা দিতে হবে।

পুকুর বা খাল-বিলের অংশে দ্রুত সড়ক ধসে যাওয়ার কারণ হিসেবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম পাটওয়ারী বলেন, পুকুর ও ডোবায় মাছ চাষ এবং মাছের খাদ্য হিসেবে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয়। এই সার প্রয়োগে মাটি নরম হয় এবং মাটি খায় এমন অনেক মাছ রয়েছে। যার ফলে সড়ক তাড়াতাড়ি ধসে বা ভেঙে যায়। সরকারি সম্পদ রক্ষায় তিনিও এসবের প্রতিকার চান বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মঞ্জুরুল আলম বলেন, বিধি মোতাবেক সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট জায়গা রেখে তবেই পুকুর খনন করতে হবে। এতে সড়কের স্থায়িত্ব ও গুণগত মান বজায় থাকে। সেখানে পুকুর ও খাল-বিলগুলো সড়ক ঘেঁষা। পুকুর ও খাল-বিলের পাড় হিসেবে সরকারি সড়কপথ ব্যবহার এবং সড়কে ওভার লোডেড যানবাহন চলাফেরা করায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে সড়কপথের।

সোনালীনিউজ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!