• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে হাজতির আত্মহত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১, ২০২০, ০৭:২৩ পিএম
কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে হাজতির আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় মোস্তফা (২৫) নামের এক হাজতির কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা কারাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে কারাগারে গলায় ফাঁস দেয়ার মতো কোনো অবস্থা না থাকায় তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

মারা যাওয়া হাজতি মোস্তফা কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার বশির আহমেদের ছেলে। তারা এলাকায় ‘রোহিঙ্গা’ বলে পরিচিত।

এবিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান আজাদকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় গত ১৮ নভেম্বর মোস্তফা কারাগারে আসেন। এ মামলায় ২৯ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি ছিল। আদালত তাকে একদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন। আদালত থেকে তাকে কারাগারে আনার পর তার কক্ষেই পাঠিয়ে দেয়া হয়। ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে পেয়ে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক হাজতি মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু কারাগারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার মতো কোনো দ্রব্য পাওয়ার কথা নয়, সেহেতু বন্দী মোস্তফার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের (৩ ডিসেম্বর) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে মোস্তফা নামের এক বন্দীকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা যান। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ হরিপুর এলাকার একটি সালিশ থেকে উঠে বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিত আক্রমণের শিকার হন আসন্ন ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান আজাদ লুতু। তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার পরই রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত মোস্তফাকে স্থানীয়রা ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। এরপর থেকে কারাগারের নিয়ন্ত্রণে তিনি চিকিৎসা নেন। সুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!