• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীর ১০ বিয়ে, দেনমোহর আদায় প্রায় কোটি টাকা


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি  ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০৭:২১ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীর ১০ বিয়ে, দেনমোহর আদায় প্রায় কোটি টাকা

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নসিবঞ্জ নুহালী এলাকায় মরজিনা আক্তার মিম (৩২) নামে এক নারী ১০টি বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চ্যল্য সৃষ্টি করেছেন। বিয়ের ২ মাস পরেই তিনি স্বামীদের তালাক দেন।

জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার মোজাম্মেল হকের ১ম মেয়ে মরজিনা আক্তার মিম একে একে ১০টি বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে করেন ২০১৭ সালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বাকডোকরা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলীর সাথে। তাকে ৫ মাস পরেই তালাক দিয়ে ৭ লাখ টাকা মোহরানা আদায় করেন।

২০১৮ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র শাহদাত হোসেন কে বিয়ে করেন। ২ মাস পরেই তাকে তালাক দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর আদায় করেন।

২০১৯ সালে রাণীশংকৈল উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে জমিরুলকে বিয়ে করেন। ১ মাসের মাথায় তালাক দিয়ে ৯ লক্ষ টাকা দেনমোহর আদায় করেন। আবার ২০১৯ সালে ওই এলাকার পাশের গ্রামের মখলেসুরের পুত্র আফতাবর রহমানকে বিয়ে করেন। ২৫ দিন পরে ১২ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তালাক দেয়।

২০২০ সালে দিনাজপুর বালুবাড়ি এলাকার আকতারুজ্জামান বাবুর সাথে বিয়ে করেন। ১ মাস পরেই ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকেও তালাক দেন। ২০২০ সালে দিনাজপুর রাণীগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাদের এর সাথে বিয়ে করেন। দেড় মাস সংসার করে ৮ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকেও তালাক দেয়। ২০২০ সালের শেষের দিকে কুড়িগ্রামের মোকলেসুর রহমানকে বিয়ে করে ৪৫ দিন সংসার করে ১১ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকে তালাক দেয়।

২০২১ সালে ২৭ই নভেম্বর পীরগঞ্জ উপজেলার চাঁদগাঁও গ্রামের রজব আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকা দেনমোহর ধরা হয়। অবশেষে এই পাত্রের সাথেও তালাক করার জন্য মেয়েটি পাত্রের পরিবারকে চাপ দেওয়া শুরু করে। মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার চাপ দেয়। নাহলে দেনমোহর পরিশোধ করে তালাক দিতে বলে।

মেয়েটির সবশেষ স্বামী রবিউল ইসলাম জানান, মেয়েটির এতগুলো বিয়ে হয়েছে আমার জানা ছিল না। পারিবারিকভাবেই বিবাহ হয়েছে। মেয়েকে যেদিন দেখতে গিয়েছিলাম সেদিনই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আর দেনমোহরও বেশি টাকা লেখা হয়। বিয়ের প্রথম থেকেই মেয়েটি সমস্যা করতেছিল। বেশিরভাগ সময় তার বাবার বাসায় থাকতো। ৩ মাস পরেই আমাকে কোন কারণ ছাড়াই তালাক দিবে জানায়। পরে আমি খবর নিয়ে তার আগেও ১০টা বিয়ে হয়েছে সেটা জানতে পারি। এখন সে দেনমোহরের টাকা আর তালাকের জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে।  

এ বিষয়ে মেয়ের বাবাসহ দুই চেয়ারম্যান নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় বসা হলে মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ের ১০টা বিয়ে তাতে তার কি সমস্যা। মেয়ের সাথে সংসার না করলে মোহরানার টাকা দিয়ে আমার মেয়েকে তালাক দেক।

মরজিনা আক্তার মিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কোন ছেলেই আমার মন মত না। সেজন্য কারও সাথেই সংসার টিকে না আমার।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান বলেন, একটি সাধারণ মেয়ের এতগুলো বিয়ে আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পরে আমি মেয়ে বাবাকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তার কথা বলার ধরণ ভাল না। তাই আর কথা বাড়াইনি।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!