• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বাঁশ চালান দিয়ে চোর সাব্যস্ত, কিশোরের আত্যাহত্যার চেষ্টা 


তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম
বাঁশ চালান দিয়ে চোর সাব্যস্ত, কিশোরের আত্যাহত্যার চেষ্টা 

বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে সৌর বিদ্যুৎ-এর ব্যাটারি চুরির ঘটনায় কবিরাজ (ফকির) থেকে বাঁশ পড়া আনা হয়। পরে এলাকাবাসীর সামনে দেওয়া হয় বাঁশ চালান। এই বাশঁ চালানের ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করে হাফিজুর নামের এক যুবক। এতে চুরির অপবাদ নিয়ে ঘৃনায় চোর সাব্যস্ত হওয়া রবিউল আত্যাহত্যার চেষ্টা করেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ছোটবগী এলাকার চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার চরপাড়া এলাকার কামাল তালুকদারের নিজ ঘর থেকে সৌর বিদ্যুৎতের ব্যাটারি চুরি হয় গত তিন দিন আগে। এ জন্য থানায় কোনো অভিযোগ না দিয়ে আদিম এই কুসংস্কারের সহায়তায় চোর শনাক্ত করার জন্য আমতলী উপজেলার কবিরাজ হোসনেয়ারা বেগমের থেকে বাঁশ পড়া আনেন কামাল তালুকদার। এই বাঁশ পড়া দেওয়ার জন্য একজন তুলা রাশির লোক আনা হয়। পরে এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক লোকের সামনে বাঁশ চালান দেওয়া হয়। এতে বিরোধ থাকা জালাল ফরাজীর ছেলে রবিউলকে টার্গেট করে চোর শনাক্ত করা হয়। এই ঘটনাটি সম্পূর্ণটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়েন ঐ এলাকার হাফিজুর নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি ভাইরাল হলে রবিউল চুরির অপবাদ নিয়ে ঘৃণায় ঘরে থাকা বিষ খেয়ে আত্যাহত্যা করার চেষ্টা চালায়। পরে পরিবারের সহযোগিতায় বেঁচে যায় রবিউল।

রবিউল বলেন, আমি জেলে, নদীতে মানুষের সাথে কাজ করি। বাঁশ চালান দেখতে যাই আমি। তবে আমাকেই চোর বানানো হয়েছে। কামাল তালুকদারের সাথে আমার একটু ঝামেলা আছে। আমি এ অপবাদ নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকবো তাই আত্যাহত্যা করতে চেয়েছি।

রবিউলের বোন বলেন, আমার ভাই ঘরে এসে বিষ খায়। তবে আমি দেখে ফেলায় সম্পূর্ণ খেতে পারেনি। পরে আমার ভাই বলেন, বাঁশ চালান দিয়ে অহেতুক চোর সন্দেহ করেছেন। সেই ভিডিও আবার ফেসবুকে ছেড়েছে। সবাই আমাকে চোর জেনে গেছে। এজন্য আমি আত্যাহত্যা করবো। পরে আমরা হাফিজুরকে থানায় নিয়ে আসছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।

এবিষয় কামাল তালুকদার বলেন, আমার ব্যাটারি চুরি হয়েছে। এ জন্য আমি বাঁশ পড়া এনে তা চালান দেই। তাতে রবিউল চোর শনাক্ত হয়। চুরির বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,থানায় কোনো অভিযোগ করিনি।

ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার বিষয়ে হাফিজুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই বাঁশ চালানের ভিডিও ছেড়েছে তাই আমিও ছেড়েছি।

কবিরাজ (ফকির) হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমি বাঁশপড়া দিতে চাইনি। তারা জোড় করে নিছে। আমি জীবনেও বাঁশ পড়া দিবো না বলে ফোন কেটে দেন।

তালতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, চুরির কোনো বিষয়ে অভিযোগ কেউ করেনি। তাছাড়া বাঁশ চালান দেওয়ার আইনগত কোনো ভিক্তি নেই। তিনি আরও বলেন, রবিউলের পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!