• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মার্চ ১১, ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্তা এলাকায় বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই কোহেল উদ্দিন (৬০) নিহত হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) ভোর ৬ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কোহেল উদ্দিন এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানা পুলিশ।
 
নিহত কোহেল উদ্দিন মুন্সি সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের মধুরচর এলাকার মৃত ইন্তাজ মুন্সির ছেলে।

জানা যায়, জেলার সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের মধুরচর এলাকার আপন দুই ভাইয়ের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো তাদের বাবা ইন্তাজ মুন্সি মারা ডাওয়ার পর থেকেই। সেই শত্রুতার জেরে গতকাল রোববার (১০ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন কোহেল উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। আহত অবস্থায় কোহেল উদ্দিন ও তার ছেলে শাহিনুরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোহেল উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। কোহেল উদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১১ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে মারা যায় এবং তার ছেলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জামির্তা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মামুন মিয়া বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে অনেকবার তাদের এ বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের মীমাংসা করার চেষ্টা করছি কিন্তু পারিনি। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে দুই ভাই ও ভাতিজার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বড় ভাই ইসলাম লোহার শাবল দিয়ে ছোট ভাইকে আঘাত করে। আহত অবস্থায় কোহেল ও তার ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরের দিকে কোহেল মারা যায়।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল সেই সূত্র ধরেই রোববার বিকেল ৩টার দিকে মারামারির ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় কোহেল ও তার ছেলে শাহিনুরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোহেল উদ্দিন মুন্সি ভোরের দিকে মারা যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন আছে বলেও মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।  

এমএস

Wordbridge School
Link copied!