• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াতের কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার


ফরিদপুর প্রতিনিধি আগস্ট ১, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
জামায়াতের কার্যালয়ের ভেতর থেকে ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

ফরিদপুর: ফরিদপুরে জামায়াত ইসলামের জেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১২টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু জব্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে শহরের চকবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মসজিদ মার্কেটের চতুর্থ তলায় অবস্থিত কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলে প্রায় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।

অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। পুলিশ জানায়, নাশকতার মামলায় কোতোয়ালি থানা কর্তৃক তাকদীর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, দুপুর পৌনে ৩টায় পুলিশের একটি টিম কার্যালয়ে ঢুকে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়। এ সময় তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ও আলমারি ভেঙে তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে একটি কক্ষে ফুজি ফিল্ম নামে কাগজের বাক্স থেকে ৭টি এবং ওই মার্কেটের ছাদে ওঠার সিঁড়ির পাশ থেকে খোলা জায়গায় রাখা ৫টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অফিসে থাকা বিভিন্ন নথি ও কাগজপত্রসহ কিছু বইও জব্দ করে পুলিশ। 

১২টি ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, জেলা কার্যালয় থেকে ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে জামায়াতের বড় একটি অংশ পরিচালনা করা হয়। তারা এখানে একত্রিত হয়ে নিয়মিত মিটিং ও কর্মিসভা করে থাকে। এখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণের অনেক বইও পাওয়া গেছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তারা এখানে বসে ফরিদপুরসহ ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিষদ তদন্ত করব এবং মামলা করব। যেগুলো নিষিদ্ধ রয়েছে তা জব্দ করে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে। এ ছাড়া এই কার্যক্রমের সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেককেই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। 

জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক সহকারি আব্দুর তাওয়াব বলেন,জামায়াত অফিসে বই ছাড়া কিছু ছিল না। ওই অফিসে ককটেল কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো বস্তু থাকার প্রশ্নই ওঠে না। সারাদেশ জানে আমাদের সঙ্গে সরকার কি ধরণের আচরণ করছে। তারা একটি স্ক্রিপ্ট করে এসব নাটক সাজাচ্ছে, বাস্তবায়ন করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, আমাদের অফিস থেকে  ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারাই ভালো জানে কোথা থেকে এই ককটেল এলো এবং কীভাবে উদ্ধার করা হলো।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান হাসান সহ পুলিশ সদস্যরা।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!