জামালপুর: মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১৭ বছর আগে পারিবারের সদস্যদের প্রতি অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন জুয়েল মিয়া। এরপর থেকে কোনো হদিস ছিলো না তার। পরিাবরের লোকজন মনে করে ছিলেন জুয়েল মিয়া হয়তোবা আর জীবিত নেই।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাড়ি ফিরেন জুয়েল মিয়া। নিখোঁজের সময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর। আর এখন তার বয়স ৪৪। জুয়েল মিয়াকে ফিরে পেয়ে খুশি তার পরিবারের লোকজন। জুয়েল মিয়া পেশায় কাঠ মিস্ত্রী।
জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে জুয়েল স্ত্রী, দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে তালাক দেন। এরপর সেই স্ত্রীর অন্যজনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরের বছর জুয়েল মিয়া ও বড়ভাই মোতাহারের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের উপর অভিমান করে দুই সন্তান রেখে বাড়ি ছাড়েন তিনি। দুই সন্তান হয়ে পড়ে বাবা-মা হারা।
জুয়েল মিয়া বলেন, গত ১৭ বছর গাজীপুর অবস্থান করছেন। এখন বাকি জীবন তার ছেলে মেয়েদের সাথে কাটাবেন বলে বাড়ি ফিরে আসছেন। ছেলে মেয়েদের কাছে পেয়ে তিনিও অনেক আনন্দতি।
জুয়েলের বড় মেয়ে মুক্তি আক্তার বলেন, আমরা বাবা-মা'র আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। দীর্ঘ ১৭টি বছর বাবা-মার ভালবাসা পাইনি।
মুক্তি আক্তার আরও বলেন, আমাদের বাবা আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন, তাতে আমরা অনেক আনন্দিত যা বলে প্রকাশ করতে পারবো না।
চরপাকেরদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, জুয়েল মিয়া আমার পাশের বাড়িতে থাকতেন। তাকে আমি ভালভাবে চিনি, গত ১৭ বছর আগে সে নিখোঁজ হয়। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম হয়তো সে আর জীবত নেই। কিন্ত তার আগমনে তার পরিবারসহ এলাকাবাসী অনেক আনন্দতি।
চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, জুয়েল মিয়া ফিরে আসাতে তার পরিবার ও স্বজনরা খুবই আনন্দিত। সে তার পৈত্তিক বসতবাড়িতে থাকতে চাইলে আমাদের সকল ধরনের সহযোগীতা পাবে।
এআর







































