ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে প্রবাসীর স্ত্রী লায়লী আক্তার তানিয়া (২৫) হত্যা মামলার আসামি নুর আফছার রনিকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে খাগড়াছড়ির রামগড় থানার পাতাছড়া ইউনিয়নের তালমনি পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজীর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ আলম পাটোয়ারী সহ রামগড় থানার একটি অভিযান দল।
গ্রেপ্তারকৃত রনি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চর খোয়াজ গ্রামের ছালামত সওদাগরের নতুন বাড়ির নুর উদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার রনি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে নিহতের লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত লায়লীর সঙ্গে তার এক বছরের বেশি সময় ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানায়। তাকে (লায়লী) সে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল। নিহতের সাথে সম্পর্কের কারণে আসামির স্ত্রী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যায়। এ দিকে লায়লী একই সঙ্গে প্রবাসী রনি নামের আরেক যুবকের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িত ছিলেন যা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
হত্যাকাণ্ডের দিন নিহতের কথামতো জিলাপি নিয়ে আসামি রনি তার বাসায় গিয়ে তাকে প্রবাসী রনির সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল নিয়ে যায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রনি লায়লীর গলা টিপে ধরেন এবং পরে ওড়না ও গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি লায়লীর মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ আরও জানায়, আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের দিন বাসায় আনা জিলাপি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে আসামি রনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েজীদ আকন বলেন, আসামি রনিকে গতকাল রাতে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতে হাজির করা হলে সে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সোনাগাজী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম তুলাতলীতে ভাড়া বাসা থেকে লায়লী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আইএ







































