• ঢাকা
  • রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

রায়পুর বণিক সমিতির সভাপতি মুরাদ, সম্পাদক আলমগীর 


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জুলাই ৬, ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
রায়পুর বণিক সমিতির সভাপতি মুরাদ, সম্পাদক আলমগীর 

লক্ষ্মীপুর: উৎসবমুখর পরিবেশে এই প্রথম লক্ষ্মীপুরের রায়পুর বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে সাইফুল ইসলাম মুরাদ (চেয়ার) সভাপতি ও আলমগীর হোসেন (ছাতা) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। 

শনিবার (৫ জুলাই) রাত১০টার দিকে নির্বাচনের দায়িত্ব থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা (উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা) মাজেদুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এরআগে দিনব্যাপী মার্চ্চেন্টস একাডেমী প্রাঙ্গনে এ ভোট গ্রহন চলে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, রায়পুর বণিক সমিতির নির্বাচনে ১৬২৫ জন ভোটার ছিলেন। সভাপতি পদে ৪ প্রার্থী ছিলেন। এ প্রার্থীদের ১৪৯২ জন ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে বিজয়ী প্রার্থী মুরাদ ৭১৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী ছিলেন।

এসব প্রার্থীকে ১৪৯১ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। এরমধ্যে বিজয়ী প্রার্থী আলমগীর ৯২৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১৪টি পদের জন্য ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। 

নির্বাচিত অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান (বালতি), সহ-সভাপতি মো. শফিক (ক্যামেরা), সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক (ভ্যানগাড়ি), সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উল্যা (জগ), কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন (পাঞ্জাবি), দপ্তর সম্পাদক জহির হোসেন (ডাব), যোগাযোগ ও প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক (মাইক), সমাজসেবা ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশিদ (দোয়েল পাখি), পাঠাগার ও লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক কামাল হোসেন (কলম), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আলম (ক্রিকেট ব্যাট), সদস্য ওমর ফারুক (টেবিল), তানভীর হাসান (উড়োজাহাজ), আবুল হাশেম (আপেল) ও খায়রুল আলম (হাতি)। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। প্রতিযোগীতা দিয়ে তারা শুরু থেকে প্রচার-প্রচারণা ও ভোটারদের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেছেন। জনশ্রুতি রয়েছে, সভাপতি পদে মর্যাদার ভোট হয়েছে। প্রভাবশালী ব্যবসায়ী রড-সিমেন্ট পরিবেশক সাইফুল ইসলাম মুরাদ ও  মুদি পণ্যের ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খান ভোটের মাঠে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এ ভোটে তাদের অন্তত ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তাদের ঘনিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন। 

এদিকে গত ২৮ জুন এ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও একটি রীট দায়েরের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়। ২৬ জুন উচ্চ আদালতের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও আইনুন নাহার সিদ্দিকার দ্বৈত বেঞ্চ এক মাসের জন্য এ স্থগিতাদেশ দেন। এ সময় রুলের জবাব দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেজিস্ট্রার আরজিইসি, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে সমঝোতার কারণে পরবর্তীতে রীটটি প্রত্যাহার করা হয়। এতে নির্বাচনে আর কোন বাঁধা ছিল না। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোট গণনা শেষে রাতে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। 

এআর

Wordbridge School
Link copied!