দিনাজপুর: নবাবগঞ্জে বিদেশি ফল রামবুটান চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। উপজেলার মাটিতে পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফলের ব্যাপক ফলন হওয়ায় কৃষিতে দেখা দিয়েছে অপার সম্ভাবনা।
সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিনোদনগর ইউনিয়নের উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের আ. রহমানের বাগানে কিছুটা লিচুর মত দেখতে লাল রঙের এ ফল গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে।
রামবুটান চাষে সফল চাষী আ. রহমান বলেন- বিদেশে চাকরি করা কালে রামবুটান ফলের সাথে তিনি পরিচিত হন। দেশে ফেরার সময় সঙ্গে আনেন এ ফলের বীজ কিন্তু সে বীজ দিয়ে চারা তৈরিতে ব্যর্থ হন। পরে ইউটিউব দেখে ফরিদপুর জেলা থেকে আনেন চারা গাছ।
৬ বছর আগে বাড়ি সংলগ্ন নিজের জমিতে লাগান ১০টি চারা গাছ। গত বছর একটি গাছে সীমিত আকারে
কিছু ফল দেখা দেয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে তার ৩টি গাছে ব্যাপক ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কেজি রামবুটানের ফলন হয়েছে।
পুরোপুরি পাকার আগেই বাগানেই বিক্রি করছেন প্রতি কেজি হাজার টাকা দরে। শুধু মাত্র জৈব সার আর অল্প সেচ দিয়ে এ ফলের চাষ করা যায়।
ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার ফল চাষীদের মাঝে এ ফল ছড়িয়ে দিতে নিজের বাগানে কলম চারা তৈরি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
একই গ্রামের মশফিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই অচেনা এ ফল দেখতে আ. রহমানের বাগানে ভিড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এ ছাড়া ব্যাপক ফলন ও সুস্বাধু ফল হওয়ায় এ ফল চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। নিচ্ছেন পরামর্শ।
উপজেলা কৃষি অফিসার তাপস কুমার রায় বলেন, পুষ্টিগুনে ভরপুর এ ফল উপজেলায় নতুন চাষ করা হচ্ছে। ফলচাষী আ. রহমান এ ফল চাষে সফল হয়েছেন।
তারমত উপজেলাতে আরও অনেকেই এ ফলের গাছ লাগিয়েছেন। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ উপজেলার মাটি আবহাওয়া এ ফলের জন্য উপযোগী হওয়ায় আগামীতে এ ফল সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এআর







































