বরিশাল: শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি ও রোগীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরিচালক জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনার পর বরিশালসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন চলছে।
অচিরেই দেশে ৩ হাজার চিকিৎসক ও আগামী মাসে ৩২শ নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। শেবাচিমে তুলনামূলক বেশি জনবল বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের জন্য দ্রুত এমআরআই মেশিন, ক্যাথল্যাব ও সি-আর্ম মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। গাইনী, শিশু ওয়ার্ড এবং কেবিন আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হয়েছে। সিসিইউ ও আইসিইউ ওয়ার্ড সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ১৫ দিনের মধ্যে ল্যাবে অটোমেশন চালু হলে রোগীর ভোগান্তি ও দুর্নীতি কমবে।
১৯৬৮ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই হাসপাতাল বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৭০০ রোগী ভর্তি করছে। গত অর্থবছরে অন্তঃবিভাগে প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার এবং বহিঃবিভাগে ৬ লাখ ১২ হাজার রোগী সেবা নিয়েছেন। শয্যা সংকটের কারণে এক বেডে গড়ে তিনজন রোগী থাকেন।
টাকা নেয়ার অভিযোগে সব স্বেচ্ছাসেবী ট্রলি ম্যানকে বহিষ্কার করে সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে নজরদারির জন্য সাতটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। বহিঃডায়াগনস্টিক সেন্টারে দালাল ও ছদ্মবেশী হকারদের সঙ্গে পুলিশের সমন্বয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরিচালক জানান, ১০০টি সিলিং ফ্যান বসানো হয়েছে, ৯০ জন হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, এবং টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনার সংস্কার কাজ চলছে। নতুন ভবনে স্থানান্তরের পর মেডিসিন বিভাগে রোগীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই বিভাগটি পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শেবাচিমের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু ও অন্যান্য গণমাধ্যম প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এআর







































