চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের কলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কিশোরী হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মাথায়, পিঠে সবমিলিয়ে ২০টির উপর সেলাই দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে আমি বাড়ির বাইরে বাথরুমে যাই। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আশিক (২৮), আবু তাহেরের ছেলে আজাদ (৫০), আবু তাহেরের ছেলে নুরু (৪৫) এবং আইয়ুব আলীর ছেলে সাকিল (২৫) এসে আমার পেছন থেকে জাপটে ধরে। সেই সাথে জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার চিৎকারে মা বাড়ির বাইরে চলে আসলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
এদিকে কিশোরীর ভাই জানান, রাতে খেয়ে আমি শুয়ে ছিলাম। পরে আনুমানিক রাত ২টার দিকে আমার বোনের আত্মচিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে আসলে দেখি আমার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে। একই সাথে চারজনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখি। তারপর আমার বোনকে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় পিঠে হাতে সর্বমোট ২০ টি সেলাই দেয়। বর্তমানে আমার বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আমি এই অন্যায়ের সঠিক বিচার ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ হতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এছাড়াও তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পিএস







































