• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধা দলের কমিটি নিয়ে বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ পদে আ. লীগ নেতারা


বরগুনা প্রতিনিধি আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধা দলের কমিটি নিয়ে বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ পদে আ. লীগ নেতারা

বরগুনা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা শাখার কমিটিতে ঠাই পেয়েছে আ. লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক নেতা কর্মীরা। 

ঘটনায় হতাশা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বরগুনা জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যে। 

বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল ইসলাম। তিনি গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেতলি প্রতীক নিয়ে বরগুনা ১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। অতীতে এমনকি তিনি আমতলীর আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে তার সহদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে পথসভায় বক্তব্য প্রদান করেন। 

গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে তিনি খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সাবেক এই কাস্টমস কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম। 

কমিটিতে একাধিক আঃলীগ নেতা কর্মীর নাম থাকা নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে কিছুই না দোষ চাপিয়ে দেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তালুকদারের ওপর। 

এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে পুনরায় কমিটি গঠন করা হবে। কিভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মুক্তিযোদ্ধা দলে ঠাই পেয়েছে তার সঠিক উত্তর দিতে গড়িমসির আশ্রয় নেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অতীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার জনসভায় বক্তব্য প্রদান করেন। 

বরগুনা জেলা শাখার কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা কমান্ডার এডভোকেট একেএম শামসুদ্দিন সানু, আরেক সহ সভাপতি হয়েছেন  বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মো. দারুল ইসলাম মাস্টার। 

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা কমিটিতে জেলা আওয়ামী নেতা সহ একাধিক আঃলীগের ব্যক্তিরা পদ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির নের্তৃবৃন্দসহ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও অনেক সদস্য হয়েছেন তারা ব্যক্তিগত জীবনে আওয়ামীলীগের সমর্থক রয়েছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল থেকে পদত্যাগ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে যোগদান করেন অনেক নেতা। এতে বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের বেশ কিছু পদ শূন্য হয়ে যায়। এই শূন্য পদ পূরণের জন্য নতুন করে জাতীয়তাবাদী দলের অনুসারী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করেন বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। পরে কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়। আর এতেই বাধে বিপত্তি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা শাখার সদস্য এ জেড এম সালেহ ফারুক বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জার এবং বিব্রতকর। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়ার মত না। যারা এই কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। আর দ্রুত এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা মাঠে না থাকায় এবং দলীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় আমরা অনেককেই চিনতে পারিনি। 

এ কারণে উপজেলা নের্তৃবৃন্দের মাধ্যমে আমরা কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত করেছি। এ কমিটিতে ভুলবশত আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ঢুকে পড়েছে। আমরা শিগগিরই সে নামগুলো বাদ দিয়ে কমিটি সংশোধন করব।

এআর 

Wordbridge School
Link copied!