গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম নুর বলেছেন, এখনো তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে রক্ত মাখা নুর ভাইয়ের মুখ। তিনি বলেন, ‘আমি এমন এক দুর্ভাগা ভাইয়ের পাশে ছিলাম, যিনি ১৮-এর কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে ডাকসু নির্বাচনে সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার লক্ষ্য ছিল, যেন কেউ আমার ভাইকে আঘাত করতে না পারে। সব প্রোগ্রামে আমি তার ছায়ার মতো পাশে ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতাম, দেশের মানুষ যাদের নিপীড়িত ও হায়না বাহিনীর কাছে জিম্মি, তাদের উদ্ধারের একমাত্র নায়ক নুর ভাই। তাই জীবন দিয়েই তাকে রক্ষা করেছি।’
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুর শহরের একটি কনভেনশন হলে নুরের সুস্থতার জন্য দোয়া এবং গণঅধিকার পরিষদের পিরোজপুর জেলা নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় আমিনুল ইসলাম নুর এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে নুর ভাই ভিপি হওয়ার পর ছাত্রলীগের তান্ডবের সময় আমি ঢাল হয়ে তার মাথা পেতে দিয়েছিলাম। তখন প্রথম আঘাতটি আমার মাথায় লেগেছিল এবং আমি ১৮ দিন হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় ছিলাম। সে সময় ভাইকে রক্ষা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু গত মাসের ২৯ আগস্ট যে হামলা হয়েছে, তখন আমি বরগুনাতে ব্যক্তিগত কাজে ছিলাম। সেই কারণে হয়তো তাকে রক্ষা করতে পারিনি। আজ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখার ব্যথা এখনও অনুভব করছি।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল, জেলা সভাপতি ইমরান খান রাসেল, সহ-সভাপতি ইয়ার হোসেন রিপন, আতিকুল ইসলাম মান্না, ফোরকান হাওলাদার, সেক্রেটারি কালিমুল্লাহ ইউসুফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, সাঈদ খোকন, আলাউদ্দিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ খান আরিফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাসেল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা ইমাম হোসেনসহ আরও অনেকে।
এসএইচ







































