ছবি : প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় মাসব্যাপী চলবে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন। এ বছর টিকা পাবেন পৌনে তিন লাখ শিশু-কিশোর। চলতি মাসের ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী চলবে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন।
সিভিল সার্জন জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৫৭ জন। এর মধ্যে জেলার ৯২২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৫ জন। যেখানে স্কুল বর্হিভূত সংখ্যা কমিউনিটি পর্যায়ে ৯১ হাজার ২৫২ জন। এই টিকাদান ক্যাম্পেইনে জেলার মোট লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৭ জন। এই ক্যাম্পেইনে মোট আউটরীচ টিকাদান কেন্দ্র ৮৯৬টি। আর মোট স্থায়ী কেন্দ্র ৮টি। এই ক্যাম্পেইনে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীর সংখ্যা রয়েছে ৩৪১ জন। আর প্রথম সারির তত্বাবধায়ক থাকবে ১১৮ জন। ইতিমধ্যে টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম শেষ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী ১২ অক্টোবর এই টিকাদান ক্যাম্পেইন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
এসময় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হাসান বলেন, এই টিকাদান চলবে দুইভাবে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী এই টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে। এই টিকা শিশু পেলে টাইফয়েডের ঝুঁকি কমে আসবে। এই টিকাদান ক্যাম্পেইন সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। টাইফয়েড টিকা অত্যন্ত নিরাপদ। টিকা গ্রহণের পর অন্যান্য টিকার ন্যায় সামান্য প্রতিক্রিয়া, যেমন: টিকাদানের স্থানে লালচে হওয়া, সামান্য ব্যথা, মৃদু জ্বর, ক্লান্তি ভাব ইত্যাদি হতে পারে, যা এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীকে অবহিত করুন অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। দুর্গম এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার উদ্দিষ্ট শিশুদের ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্বিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার ইমরান হাসিব, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
পিএস







































