• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

নাগেশ্বরীতে ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর: এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদ


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
নাগেশ্বরীতে ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর: এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদ

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র (২৫শতাধিক ভোটার) স্থানান্তর করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় ভোটার ও এলাকাবাসী। স্বাধীনতার পর থেকে পশ্চিম সাপখাওয়া, মন্দিসেরখামার, পশ্চিম সাপখাওয়া, সরকারটারী ও মধুরহাল্লা মহল্লার মানুষ এই কেন্দ্র থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট প্রদান করে আসছিলেন।

তবে হঠাৎ করে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ, নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সঙ্গে যোগসাজসে এবং কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে এই ভোট কেন্দ্র প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নবাগত এমপিওভুক্ত মধুরহাল্লা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন।

এর প্রতিবাদে শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে পশ্চিম সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকার মানুষ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এলাকাবাসীর দাবি, ভোট কেন্দ্র পূর্বের অবস্থানে বহাল রাখতে হবে।

স্থানীয়রা প্রভাষক এস এম হাবিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আঃ কাদের, রফিকুল ইসলাম, ইউনুছ আলী, হাবিবুর রহমান সরকার ও খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এই পাঁচ গ্রামের মানুষ পশ্চিম সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে আসছি। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যভিত্তিক এই কেন্দ্র ৩ কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর করা হলে বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য ভোট দেওয়া অসম্ভব হবে। নতুন কেন্দ্রটি আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রভাবাধীন এবং এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য সুপরিচিত। তাই ভোট কেন্দ্র পূর্বের অবস্থানে রাখা অপরিহার্য।”

এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।”
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, “অভিযোগের পর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ শুনেছি। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভোট কেন্দ্র যদি পূর্বের অবস্থানে বহাল না থাকে, তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন এবং উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করবেন।

এসএইচ

Wordbridge School
Link copied!