ছবি: প্রতিনিধি
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল-ইকোনমিক কাউন্সিলর এরিক গিলানের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ ও দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াত কার্যালয়ে দুই পক্ষের এ আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার, নারীর নিরাপত্তা, সংখ্যালঘু অধিকার, রোহিঙ্গা সংকট এবং চট্টগ্রাম-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল স্পেশালিস্ট ফিরোজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে অংশ নেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. একেএম ফজলুল হক এবং নগর মহিলা জামায়াতের নেত্রী হাসিনা ইয়াসমিন রিনা, আয়েশা পারভিন, শিরিন জাহানসহ আরও অনেকে।
আলোচনায় বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, নাগরিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে জামায়াত নেতারা জানান, দেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ইসলামের শিক্ষা। মহানগর আমির নজরুল ইসলাম বলেন, এই দেশে সংখ্যালঘু বলে কেউ নেই, সবাই সমান। দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র, সামাজিক সহাবস্থান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরে তাঁরা।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা, নগরসেবার চ্যালেঞ্জ ও বন্দরনির্ভর অর্থনীতির ভবিষ্যত নিয়েও ব্রিফ করেন নেতারা। রোহিঙ্গা সংকট, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সেন্ট মার্টিন ঘিরে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয় বৈঠকে।
নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ছিল আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয়গুলোর একটি। মার্কিন কাউন্সিলর জানতে চান, ক্ষমতায় গেলে জামায়াত নারীদের জন্য কী ধরনের নীতি অনুসরণ করবে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বিস্তৃত হবে। চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি নুরুল আমিন জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা নারীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং তাদের ওপর হামলার ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকের শেষে উভয়পক্ষ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সহাবস্থান ও টেকসই উন্নয়নকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে সংলাপ ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।
এসএইচ







































