২০২৪ সালের জুলাইয়ে সৃষ্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এখন ওই রায়ের ভিত্তিতে ইন্টারপোলে নতুন নোটিশ জারি করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা “সাজার পরোয়ানা” ইস্যু করে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করার আবেদন প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। আগের গ্রেফতারি পরোয়ানার পরিবর্তে নতুন ধরনের নোটিশের এই পরিকল্পনা চালু করার কারণে, তাদের মডিফাইড কেস ফাইল প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর তামিম আরও জানিয়েছেন, রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হবে যাতে “কমপ্লায়েন্স” বা আইনগত নিশ্চিতিকরণ করা যায়। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে বলা হচ্ছে, যারা পলাতক আছেন, তারা ৩০ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ করলে বিনামূল্যে এ রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে পারবেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ও রেড নোটিশ ইস্যুর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু এখন আমরা সেটি ‘কনভিকশন ওয়ারেন্ট’-এ পরিবর্তন করছি। এটি একটি নতুন ধাপ, এবং তার ওপর আমাদের আবেদনটি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ে এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ট্রাইব্যুনালের এই নতুন আইনি পদক্ষেপ তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এম







































