ঢাকা: রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের আক্কাসুর রহমান আখি হলের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ হোসাইনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারধর ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম জানান, ওষুধ নেওয়ার কথা বলে তাকে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সামনে আসতে বলা হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর, জানানো হয় এক বড় ভাই কথা বলতে চান। এরপর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজের সামনে আঁখি হলের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা তার ব্যাক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয় এবং তার ব্যক্তিগত ইয়ামাহা এফজেডএস v2 মডেলের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে। এ ছাড়াও নগদ অর্থ এবং কিছু ওষুধ ছিনতাই করা হয়। কামরুল জানান, হামলার সময় তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় এবং মাসে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। চাঁদা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নিয়াজ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে পরে তিনি স্বীকার করে বলেন, মহল্লার কিছু পোলাপান তাকে আটক করেছিল, টাকা নিয়েছে কিনা আমি জানি না। আমি তাকে সেখান থেকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যদি প্রমাণ হয় আমি টাকা নিয়েছি বা মারধর করেছি, তাহলে সে যা বলবে, আমি সেটা করব।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। কিন্তু ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন, এটা মহল্লার গ্যাঞ্জাম, ক্যাম্পাসের নয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ বলেন, এই ধরনের একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের দল থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যদি দলীয় কোনো সদস্য অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে সংগঠনের নীতিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইএ