ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে একই পদে পুনরায় চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেয় সরকার। ওই বছরের মার্চের ২০ তারিখে তিনি যোগ দেন। অর্থাৎ আগামী ২০ মার্চ তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন নিয়োগের ফলে তিনি ৩ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর নিয় মাফিক অবসরে যাবেন। সেই হিসাবে গভর্নরের দায়িত্বে সাড়ে তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আগামী ২০ মার্চ থেকে তাঁর ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে তাঁকে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।’
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সাইভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি পর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন গর্ভনর আতিউর রহমান। এরপর দায়িত্বভার গ্রহন করেন ফজলে কবির।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তিনি ১৯৮০ রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। ২০১২ সালে অর্থ সচিবের দায়িত্বে আসার আগে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ফজলে কবির। বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে ফজলে কবির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ ও মাঠপর্যায়ে কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ফজলে কবির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন একাডেমি ও ২০১২ সালে অর্থসচিব হিসেবে যোগদানের আগে তিনি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাতিসংঘের ফিন্যান্স এবং বাজেট কমিটি অধিবেশনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সোনালীনিউজ/এএস







































