• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত সোনালী পেপার


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৭:৫০ পিএম
‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত সোনালী পেপার

ঢাকা : ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড। আগামী ৩১ জানুয়ারি, রোববার থেকে কোম্পানিটির নতুন ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি কোম্পনিটি ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করে।

গত ২৪ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ করে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি কোম্পানিটির বোর্ড সভায় অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন দেয়া হয়। ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা। যা গত বছরের একই সময় ছিল ২ কোটি ৯৩ লাখ ১৩ হাজার। এ হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২৯.৩৭ শতাংশ। 

আর পেপার ও প্রিন্টিং খাতের এ কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.২৭ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.৯৪ টাকা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০২০-২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৯ পয়সা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৬ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০) ইপিএস হয়েছে ১.৫৮ টাকা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ১.০৮ টাকা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১০.১৬ টাকায়।

এর আগে, ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ব্যবসায়িক সাফল্য ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে সম্প্রতি অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পর সম্প্রতি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হয় সোনালী পেপারের। 

বিএসইসির দেয়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠিতে বলা হয়, যে কোন দিন থেকে সোনালী পেপারের লেনদেন মূল মার্কেটে চালু করতে পারবে। তবে কোম্পানিটির পরিচালকদের সব শেয়ার এক বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। লেনদেনের প্রথম দিন থেকে এই সময় ধরা হয়েছে।

এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী পেপারের শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ জুন,২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে এনওসিএফপিএস যেখানে ৮০ পয়সা ছিল সেখানে ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৪ টাকা।

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী পেপার দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কমিয়েছে ৭৭.৩০ শতাংশ এবং স্বল্প মেয়াদি ঋণ কমিয়েছে ৮.৬১ শতাংশ। প্রায় ১১ বছর পর ওটিসি মার্কেট থেকে সম্প্রতি জেড ক্যাটাগরিতে উঠে আসে সোনালি পেপার।

সোনালি পেপার ১৯৭৭ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। 

ইউনুস গ্রুপ ২০০৬ সালে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে। সোনালি পেপার প্রিন্টিং পেপারসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ উৎপাদন করে। এর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!