ফাইল ছবি
ঢাকা: ব্যাংক হিসাবে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা থাকলে আবগারি শুল্ক কাটা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা কাটা হচ্ছে।আর ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা থাকলে ১৫০ টাকা এবং ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত থাকলে ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এ ছাড়া ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকায় ৩ হাজার টাকা; ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকায় ১৫ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার ওপরে থাকলে ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমমে প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে।তবে টাকা কাটার বিষয়টি কিন্তু নতুন নয়।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবছরই এভাবে একবার আবগারি শুল্ক কাটা হয়। এটি ব্যাংকের কোনো সেবা মাশুল নয়। ২০২০ সালের জুলাই থেকে হিসাব করে বছরান্তে এখন সেই অর্থ রাজস্ব বোর্ডের হয়ে কেটে নিচ্ছে ব্যাংকগুলো।
বছর শেষ হওয়ায় এখন সবার হিসাব থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টাকা কেটে রাখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম।
তিনি বলেন ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী আবগারি শুল্ক কাটা হচ্ছে। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
কাদের হিসাব থেকে এই টাকা কাটা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সারা বছরে যদি ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ১ লাখ টাকার কম থাকে, তাহলে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। কিন্তু সারা বছরের কোনো সময় যদি ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫ লাখ টাকার কম থাকে, তখন ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হচ্ছে।’
সরকারের শুল্ক-কর আদায়কারী সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষে ব্যাংকগুলো পঞ্জিকাবর্ষ (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ধরেই আবগারি শুল্ক কেটে রাখে। এরপর তা সরকারি কোষাগারে জমা করে।
২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আবগারি শুল্ক আদায় হয়েছে।
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে সঞ্চয়ী হিসাব (যেমন, বেতন-ভাতার টাকা কিংবা সারা বছর যেসব হিসাবে লেনদেন হয়) থেকে আবগারি শুল্ক কাটে ব্যাংকগুলো। কারণ, ব্যাংকের হিসাব-নিকাশের সময় জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস।
অন্যদিকে স্থায়ী আমানতের হিসাবের ক্ষেত্রে যখন এফডিআর মেয়াদপূর্তি হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে আবগারি শুল্কের টাকা কেটে রাখা হয়।
সোনালীনিউজ/আইএ







































