• ঢাকা
  • রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বাজেট ২০২২-২৩ : যা থাকছে অর্থমন্ত্রীর ব্রিফকেসে


নিজস্ব প্রতিনিধি জুন ৯, ২০২২, ০৯:৪১ এএম
বাজেট ২০২২-২৩ : যা থাকছে অর্থমন্ত্রীর ব্রিফকেসে

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ও স্বাধীন দেশের ৫১তম বাজেট উপস্থপন করবেন আজ। এটা অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের ৪র্থ বাজেট। সবকিছু এখন চূড়ান্ত।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা ৩টায় এ বাজেট উত্থাপন করবেন তিনি। 

এবারের বাজেট প্রস্তাবের শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ এ বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

দেশের ৫১তম এ বাজেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের অতীত অর্জন ও উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এবারের বাজেট প্রস্তুত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে।

আজ উপস্থাপন হতে যাওয়া বাজেটে সরকারের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এর পরিমাণ ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। বাজেটে সরকারের মোট আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরবহির্ভূত কর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত প্রাপ্তি খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে আগামী অর্থবছরে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা বিদেশী অনুদান পাওয়া যাবে বলে বাজেটে উল্লেখ করা থাকছে।

আয়-ব্যয়ের তারতম্যের কারণে নতুন বাজেটে ঘাটতি বাড়লেও তা জিডিপির ৫ শতাংশের ঘরেই থাকছে। নতুন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। সে হিসেবে বাজেটে ঘাটতি কমানোর প্রস্তাব থাকছে। আগামী অর্থবছরে জিডিপির ও ঘাটতির অনুপাত কমানোর লক্ষ্য থাকলেও টাকার অংকে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৩০ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতি পূরণে আগামী অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের ঋণ ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়া হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরেও এ খাতে একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ও অনুদান বাবদ (নিট) গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর এক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!