• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
আইপিও ফান্ড আত্মসাৎ

নূরানি ডাইংয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত


নিজস্ব প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম
নূরানি ডাইংয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত

ফাইল ছবি

ঢাকা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নূরানি ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের আর্থিক হিসাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও আইপিও ফান্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশান ও ফৌজদারি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৮৪০তম নিয়মিত কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএসইর রিপোর্টের আলোকে নূরানি ডাইং, উদ্যোক্তা অথবা পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ইস্যু ম্যানেজার, নিরীক্ষক এবং আইপিও ফান্ড ব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদনে সত্যায়িত করা নিরীক্ষকের বিরুদ্ধে শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্নভাবে প্রতারিত করা ও প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ১৭ এর (এ), (বি), (সি) ও (ডি) লঙ্ঘিত হয়েছে। এ জন্য কমিশন এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশান ও ফৌজদারি মামলা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই অবস্থায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের দীর্ঘসময় ধরে বিএসইসি ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ তাহলে কি খতিয়ে দেখেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইপিওতে নিরীক্ষক, ইস্যু ম্যানেজারের পাশাপাশি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসি সব ফাইল খতিয়ে দেখে। এই করতে গিয়ে কমিশন আইপিও অনুমোদন দিতে কয়েক বছর পর্যন্ত বিলম্ব করে। ওই সময় স্টক এক্সচেঞ্জ এবং কমিশন তাহলে কি করে? অনিয়মের দায়ে অন্যরা অভিযুক্ত হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কেনো নয়?

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নূরানি ডাইংয়ের ২০১৬ ও ২০১৭ এর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে এবি ব্যাংকের প্রদত্ত ঋণ যথাক্রমে ৫৭.২০ কোটি ও ৪২.৯৫ কোটি টাকা উল্লেখ ছিল। কিন্তু ডিএসইর পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির সংগৃহিত ব্যাংক হিসাব অনুযায়ি, ২০১৮ সালে ১৬৮.৯৬ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ১৯২.৬৮ কোটি টাকা ও ২০২০ সালে ২১৬.৪১ কোটি টাকা দায় ছিল। এতে কোম্পানিটির ২০১৬-২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকৃত আর্থিক অবস্থা গোপন করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।

এছাড়া আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ৪৩ কোটি টাকার মধ্যে ৪১.১৪ কোটি টাকা আত্মসাত, ৩টি ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান ডিউ ডিলিজেন্স সার্টিফিকেটের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা গোপন করেছে, আইপিওকালীন ২০১৭ সালে নিরীক্ষক ক্লিন রিপোর্ট দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালে জালিয়াতি সত্ত্বেও নিরীক্ষক ক্লিন রিপোর্ট দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারনা করেছে।

এছাড়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা অথবা পরিচালকেরা তাদের ধারনকৃত ৩০.৯৩% শেয়ার যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের কাছে জামানত রেখে মার্জিন ঋণ গ্রহন করে তসরুফ করে। যা জামানতের বিপরীতে গৃহিত মার্জিন ঋণ খেলাপি হয়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!