ঢাকা : ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সকল সরকারি কর্মচারীর অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক আয়করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করছে সরকার।
এনবিআর গত কয়েক বছর ধরেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বিষয়টিকে উৎসাহ দিয়ে আসছে। ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্ন জমা ও কর পরিপালন সহজ করতে এনবিআর গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম উন্মুক্ত করে।
এনবিআর বলছে, ঝামেলা এড়াতে একজন করদাতাকে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় কোন কাগজ জমা দিতে হবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে নিজের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে জমা দিতে পারছেন। এর জন্য প্রথমেই ই-রিটার্নের জন্য সাইটটিতে গিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হবে।
সেজন্য করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত কি না, তা আগে যাচাই করে নিতে হবে। যাচাই করার জন্য ১৬০০১ নম্বরে ডায়াল করতে হবে।
নিজের নামে বায়োমেট্রিক করা থাকলে তার কোনো অসুবিধা হবে না।
আয়ের ও সম্পদের বিপরীতে কত টাকা কর আসবে তার কোনো হিসাবও নিজের করতে হবে না। সেটি স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবে হিসেব করা হয়ে যাবে।
এর জন্য আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো প্রমাণ বা কাগজ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।
এ সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারবেন।
জমা দেওয়া রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্টের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া আগের বছরের জমা তেওয়া ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি সার্ভিস সেন্টার তৈরি করেছে। সেখানে ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে অফিস চলাকালীন ফোন করলে করদাতাদের ই-রিটার্ন সংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধানও দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, www.etaxnbr.gov.bd এর eTax Service অপশন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা লিখিতভাবে জানালেও তার সমাধানও মিলছে।
এমটিআই