ঢাকা: সোনা চোরাচালান রোধে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি। ৯৯টা আমরা ধরতে পারি না, নানা কারণে। এজন্য আমরা সমস্যাগুলো শুনতে চাই।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটা দেশের মানুষের জন্য, কারো জন্য ভালো না। তাহলে এই খারাপ কাজটা আমরা কেনো কন্টিনিউ করছি।
আবদুর রহমান খান বলেন, আপনাদের সমস্যাগুলো কী আমাদের জানান। আমরা ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমস্যাগুলো জেনে, সমস্যা দূর করতে চাই। এত এত সোনার বাজার অথচ সোনা আমদানি নেই কেনো এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এর জবাবটা আমি খুঁজতে চাই।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এর জন্য বড় বড় শাস্তি আছে। আবার এই চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রচুর খুন খারাবি হয়। সর্বশেষ বড় একটা একটা সেনসেশনাল, মান্টিন্যাশনাল কিলিং দেখেছি। যার বডিও পাওয়া যায়নি। বলা হয় উনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সোনা আমদানি কম হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে সোনা আনেন তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়।
কিন্তু যারা আমদানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম। তারপরেও আমাদের সোনা আমদানি হয় না কেনো? দেশে এত এত জুয়েলারি, এসবে সোনা আসছে বিক্রি হচ্ছে কিন্তু আমদানির কোনো রেকর্ড নেই। আমদানির রেকর্ড খুবই সামান্য। অথচ আমদানি অ্যালাউ করা হয়েছে, আমদানি নীতিমালা আছে।
এআর