ঢাকা : নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দেওয়ার সময় তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৬৫তম কমিশন সভায় এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নেগেটিভ ইক্যুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুনের মধ্যে কমিশনে জমা দেওয়ার শর্তে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এই সময়সীমার মধ্যে শর্ত পরিপালনে অনেকে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মপরিকল্পনা জমাদানের বিষয়ে ৯৬৫তম কমিশন সভায় সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মক্কেলের মার্জেন অ্যাকাউন্টে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে এবং স্টক ব্রোকারদের ডিলার অ্যাকাউন্টে ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ কমিশনে জমা দেয়ার জন্য স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের ৩০ সেপ্টেম্বর সময় দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে পূর্বে যারা বোর্ড অনুমোদন ব্যতিত কর্মপরিকল্পনা দাখিল করেছেন, সেসব বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনরায় বোর্ড অনুমোদনসহ কর্মপরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করতে হবে।
এদিকে কমিশন সভায় সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বার্ষিক বিও হিসাব মেইন্টেন্যান্স ফি হিসাব করার জন্য কাট-অফ ডেট আগামী ৩১ আগস্ট এবং এ সংক্রান্ত ভাউচার প্রস্তুতের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এএইচ/পিএস







































