ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে যে ‘নন-ডিসক্লোজার’ চুক্তি হয়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই চুক্তি কোনো বহুপাক্ষিক বা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতাধীন নয়, বরং এটি একটি দেশভিত্তিক একান্ত দ্বিপাক্ষিক (ওয়ান-টু-ওয়ান) চুক্তি। এর পেছনে রয়েছে প্রতিযোগী দেশগুলোর কৌশলগত দিক বিবেচনার বিষয়, তাই এ ধরনের চুক্তি গোপনীয় রাখা জরুরি বলে মত দেন তিনি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শুল্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "আমাদের প্রত্যাশা ছিল, যদি শুল্ক আরও কিছুটা কমানো যেত, তাহলে আরও ভালো হতো। তবে, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো অনেকটা ইতিবাচক। এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। কোথায় কোথায় শুল্কহার কমানো প্রয়োজন, সেটা নির্ভর করবে চূড়ান্ত চুক্তির পরবর্তী আলোচনার ওপর। তারপরও আমরা চাইবো, যদি সমঝোতার আরও কোনো সুযোগ থাকে, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখবো।"
অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক বছরে দেশের অর্থনীতির অবস্থান কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, যা স্বস্তিদায়ক। মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়, এটা যেন ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরা—এমন কিছু নয়। ধীরে ধীরে নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে।"
নির্বাচনী বাজেট সম্পর্কে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, "নির্বাচন উপলক্ষে যে ধরনের বাজেট প্রয়োজন হবে, সরকার সেটাই দেবে। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না ঠিক কত বাজেট বরাদ্দ থাকবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটের চাহিদা দেবে, এরপর সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।"
এদিকে, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত পাল্টা শুল্কহার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) এই চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করছে। খসড়া সম্পন্ন হওয়ার পর তা বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় খসড়াটি পর্যালোচনা করে মতামতসহ তা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠাবে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে নির্ধারিত দিনে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
উল্লেখযোগ্য যে, আগামী ৭ আগস্ট থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হচ্ছে এই আলোচিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য পাঠালে ২০ শতাংশ নতুন শুল্ক প্রযোজ্য হবে, সঙ্গে থাকবে পূর্বঘোষিত অতিরিক্ত সাড়ে ১৬ শতাংশ করও।
ওএফ







































