ঢাকা: বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচেতন ও দেশপ্রেমী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ জাতীয় আর্থিক খাতের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এছাড়া বিতর্কিত পরিবহন ব্যবসায়ী খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধভাবে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরে এসেছে।
কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশে নাম না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে শাহীনুল ইসলামকে বিএফআইইউ প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা দুঃখজনক।
তারা দু’টি দাবি উত্থাপন করেছেন-১. শাহীনুল ইসলামকে অবিলম্বে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো এবং দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বে রাজনৈতিক ও দলীয় বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে আগে গৃহীত সিদ্ধান্ত জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জাতীয় আর্থিক খাতের সুশাসন ও জনগণের আস্থা রক্ষার্থে উত্থাপিত দাবিগুলো দ্রুত বিবেচনা করা প্রয়োজন।
ইতোমধ্যে বিএফআইইউ প্রধানের ‘আপত্তিকর ভিডিও’ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। মঙ্গলবারই এ বিষয়ে গভর্নরের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “এনা পরিবহনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে কিছু টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অনুরূপভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানকেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুদক থেকে জানতে চাইলে আমি ব্যাখ্যা দেব।”
আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে তিনি দাবি করেন, “আমাকে হেয় করার জন্য কে বা কারা এগুলো ছড়িয়েছে। এগুলো ভুয়া।
এআর







































