ছবি: প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের মাত্র তিন দিন বাকি। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর আমেজে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিরাপদ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ, গণনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দ্বিতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবনের সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। তৃতীয় স্তরে ভোটকেন্দ্রগুলো ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হবে, যেখানে শুধু ভোটারদের প্রবেশ অনুমোদিত থাকবে। চতুর্থ স্তরে ভোটার শুধুমাত্র নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। শেষ স্তরে রিটার্নিং অফিসারের সামনে ভেরিফিকেশনের পর ভোট প্রদান সম্পন্ন হবে।
নির্বাচনের প্রতিটি ধাপ ভিডিওতে ধারণ করা হবে এবং এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি প্রদর্শিত হবে। ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ হবে যাতে বাইরে থেকে ব্যালট দেখা গেলেও প্রার্থীর ভোট শনাক্ত করা যাবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচটি করে ব্যালট বাক্স এবং পাঁচজন এজেন্ট থাকবে।
ভোটগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো আইটি ভবন (ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ), শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবন (কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ), বিজ্ঞান অনুষদ ভবন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবন (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন। প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারবে।
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটাররা মোট ৪০টি ভোট প্রদান করবেন। প্রতিটি ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম, ব্যালট নম্বর, পূর্ণসংখ্যা চিহ্ন এবং ২৪ অঙ্কের নিরাপত্তা ও গোপন কোড থাকবে।
ভোট গণনা স্ক্যানিং পদ্ধতিতে হবে। প্রত্যেক ভবনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে ভোট গণনা শেষে আইটি সেক্টরের সঙ্গে ফলাফল মিলিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর আনন্দ সৃষ্টি করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসএইচ







































