- ঢাকা
- শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকার নির্ধারিত বাড়িভাড়া ভাতাকে ‘অপমানজনক ও অপ্রতুল’ আখ্যা দিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে শহীদ মিনার থেকে।
রোববা অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারী বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হবে।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই ঘোষণা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেটাতে ব্যর্থ এবং এটি ‘দৃষ্টিকটূ অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ’। ফলে দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান কর্মবিরতি আরও তীব্র করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হলে তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠালেও শেষ পর্যন্ত ঘোষিত সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
রোববার বিকেলে শিক্ষক-কর্মচারীদের ডাকা ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি পুলিশের বাধায় বাধাগ্রস্ত হয়। শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্ট মাজার গেট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি তাদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে ফিরে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
সন্ধ্যায় সেখানে এক সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী ঘোষণা দেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত আমাদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা। তাই আজ সকাল ১০টা থেকে আমরা আমরণ অনশন শুরু করছি। এখন আর কোনো কথাবার্তা নয়—আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাই।’
তিনি আরও জানান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বানে আর আস্থা রাখছেন না শিক্ষক সমাজ।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বিকেলে শহীদ মিনারে এসে আন্দোলনে সংহতি জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি সাদেক কায়েম।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এক বিবৃতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শিক্ষকেরা যেন দ্রুত ক্লাসে ফিরে যান এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিত করেন, সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এম
