• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আদিবাসী তরুণদের অনুভূতি


আর এস মাহমুদ হাসান আগস্ট ১৫, ২০২১, ১২:৪০ পিএম
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আদিবাসী তরুণদের অনুভূতি

ছবি : আদিবাসী তরুণদ

ঢাকা : ’৭১-এ বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বগুণ বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। দীর্ঘ  নয় মাসের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে বাঙালি জাতি স্বাধীনভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে। কিন্তু সেই বাঙালিদেরই কিছু বিপথগামী সৈনিক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধু যেমন তারুণ্যের বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, সেরকম বাংলাদেশ এপ্রজন্মের আদিবাসী তরুণরা পেয়েছে কিনা সে সম্পর্কে আজ জানবো- 
 

রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৪৯)


হৃদয়ে আজও জীবিত বঙ্গবন্ধু

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকরা এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান ও পরিবারের সদস্যদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। শিশু রাসেলকেও বাচঁতে দেয়নি ঘাতকের বুলেট। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই, তবে তার মহান জীবন আদর্শ আমাদের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ এবং উজ্জীবিত শক্তি। তিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ভুলে একটি ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন।

বঙ্গবন্ধু হলো সেই নাম যা আমাদের স্বাধীনভাবে বাচঁতে শেখায়। বঙ্গবন্ধু সেই অনুপ্রেরণা যা বিশ্বের সকল শোষিত-বঞ্চিত মানুষের স্বপনের পথপ্রদর্শক। 
বর্তমান তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহসিকতা, অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলি, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতায় দীক্ষিত। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন, থাকবেন। প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু মহান নেতা হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশকে ভালোবাসতে হবে। তরুণদের মূলমন্ত্র হোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন।

রিনা মারীয়া হাঁসদা, ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

 

নৌকায় চড়ে রাজশাহীতে নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৫৪) ।


বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অমর

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির কথা কল্পনাই করা যেত না তিনি হলেন বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার জনসাধারণের কণ্ঠস্বর, বিপদের বন্ধু, কোটি মানুষের আশা, ভরসা যার সংগ্রামী জীবনের ফলস্বরূপ আমাদের সোনার বাংলাদেশ। 

আজকের বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা তা বহু আগেই বঙ্গবন্ধু তার ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন। কিছু পথভ্রষ্ট মানুষ বঙ্গবন্ধুর সেই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে দাবিয়ে রাখতে  চেয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা সহজ কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করা এত সহজ নয়। আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখে নতুন প্রজন্ম।

নিবারণ মুর্মু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
 

মন্ত্রীসভার বৈঠকে পূর্ব বাংলার গভর্নর শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান (৭ জুন, ১৯৫৭)।


বঙ্গবন্ধু আদর্শ, ব্যক্তিত্ব অনুসরণীয়

বাংলার ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক অন্ধকারতম দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এই দেশ পেয়েছি। সুষ্ঠুভাবে বসবাস করতে পারছি, পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাচ্ছি। 

তার দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মহানুভবতাই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। আমাদের চোখে তিনি আমাদের সোনার বাংলার কারিগর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, আত্মত্যাগী মানুষ। তিনি সারাজীবন দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন এবং তাদের জন্য কাজ করেছেন, সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। তার আদর্শ, ব্যক্তিত্ব অনুসরণীয়।

বিদুষী চাকমা
গণ বিশ্ববিদ্যালয়

 

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’- রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিকামী লাখো মানুষের মহাসমুদ্রে এক ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিলেন স্বাধীনতার ডাক (৭ মার্চ, ১৯৭১)। ১৯ মিনিটের এই ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে।


বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে

বঙ্গবন্ধু মানেই একটি ইতিহাস, একটি দেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই তরুণদের চোখে এক অনুপ্রেরণার গল্প। তিনি জন্মগ্রহণ না করলে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ড আমরা কখনোই পেতাম না। তিনি তার সারাটা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন নিপীড়িত, নিষ্পেষিত মানুষের জন্য। বাঙালির সুখ, দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্না নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন। তিনি সবসময় অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই দেশ ও জাতির স্বার্থে সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার কারাভোগ করেছেন। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। 

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে যখন বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তখনই একদল ঘাতক সু-পরিকল্পিতভাবে নিজ বাসভবনে স্বপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তার চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শকে লালন করে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

শিপন চন্দ্র উরাঁও, ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!