• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্ন দেখি প্লাস্টিক বিহীন এক পৃথিবীর


শব্দনীল অক্টোবর ৯, ২০২১, ০৫:০০ পিএম
স্বপ্ন দেখি প্লাস্টিক বিহীন এক পৃথিবীর

ছবি : ‘গো গ্রীন বাংলাদেশ’-এর পণ্য

ঢাকা : সভ্যতার ক্রমবিকাশ থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে গড়ে তুলছে তার পরিবেশ অন্যদিকে পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের বিকাশ ঘটাচ্ছে সৃষ্টির শুরু থেকে। সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সৃষ্ট প্লাস্টিকের দূষণের ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য। গত কয়েক দশক ধরে সারাবিশ্বেই পরিবেশের দূষণ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন নানা আন্দোলন করছে। ‘গো গ্রীন বাংলাদেশ’ তেমনই একটি সংগঠন। তারা পরিবেশ রক্ষা ও প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করে।

 

‘গো গ্রীন বাংলাদেশ’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিনাত আরা সুরভী বলেন, ‘আমরা প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটির মুখোমুখি হয়েছিলাম, তা হলো প্লাস্টিক ব্যবহার না করলে কি ব্যবহার করবো? বাংলাদেশের মানুষের সামনে আসলেই কোন বিকল্প ছিলো না। প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প কি হতে পারে তা নিয়ে চিন্তার সময়ই আমাদের সামনে আসে ভারতের আসামে তৈরি বাঁশের বোতল।’

‘এবার শুরু হয় গবেষণার। কি হতে পারে টেকসই বিকল্প? এই চিন্তায় হাজারো ঘন্টা ব্যয় করেছি আমরা। এখনও আমাদের পরিকল্পনা চলতেই থাকে নিত্যনতুন বিকল্প খোঁজার চেষ্টায়। গো গ্রীন বাংলাদেশ থেকে আমরা বাঁশের কাজ শুরু করি ২০১৯ সালে।’

‘প্রথমে বোতল নিয়ে কাজ শুরু করি তারপর ধীরে ধীরে আরও প্রডাক্ট এ্যাড হতে থাকে। বাঁশের স্ট্র নিয়ে কাজ শুরু হয় কিন্তু বাঁশের স্ট্রর অনেক চাহিদা স্বত্তেও আমরা দাম হাতের নাগালে আনতে পারছিলাম না। একটা স্ট্র ১৫ টাকা পড়ে।’

‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা মুটামুটি পর্যায়ে চালানো সম্ভব হলেও সবার হাতে পৌছানো সম্ভব না। যদিও বাঁশের এবং জুটের স্ট্র রিইউস করা যায় অনেক মাস তারপরও বেশ কিছু মানুষের থেকে প্রশ্ন আসতে থাকে এত টাকা স্ট্র এর দাম হলে কিভাবে এগুলো ব্যবহার করবো? সেই চিন্তা থেকে মনে হলো বাঁশ এবং পাটকাঠির যে ছিদ্র সেটা প্রায় কাছাকাছি। অনায়াসে যে কোন ধরণের পানীয় পান করা যায়।’

‘আবার দাম ও বাঁশের স্ট্র থেকে অনেক কমে করা যাবে। তারপর পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু। কয়েক মাসের সাধনায় আমরা এটা বাজারে আনতে পেরেছি। তবে এটা জীবাণুমুক্ত করতে আমাদের লম্বা সময় চলে যায় তারপরও আমরা এটা কন্টিনিউ করবো কারণ প্রতিদিন অসংসখ্য স্ট্র ছড়িয়ে পড়ছে নদ, নদী, সাগর আর মাটিতে। যা আমাদের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।’

‘আমাদের পরিকল্পনা প্রতিটি ঘরে, দোকানে জুট স্ট্র ব্যবহার হবে। লম্বা সময় প্রসেসের কারণে যায় বলে উৎপাদন দ্রুত করা যাচ্ছে না। আমরা এখনো পরীক্ষা নিরিক্ষা করছি কিভাবে এর সমাধান করে দ্রুত অনেক বেশি স্ট্র উৎপাদন করা যায়।’

‘উৎপাদন যত বাড়বে দাম ততো কমবে। আমরা সেলক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে চাই। স্বপ্ন দেখি প্লাস্টিক বিহীন এক পৃথিবীর।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!