• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দস্যুদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা ইদ্রিসের আশা ‘নাবিকরা শিগগিরই মুক্তি পাবেন’


নিউজ ডেস্ক মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
দস্যুদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা ইদ্রিসের আশা ‘নাবিকরা শিগগিরই মুক্তি পাবেন’

২০১০ সালে জিম্মি দশা থেকে ফিরে আসা নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস।

ঢাকা: মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক শিগগিরই মুক্তি পাবেন বলে আশা করছেন ২০১০ সালে জিম্মি দশা থেকে ফিরে আসা নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস।

একটি গণমাধ্যমকে ২০১০ সালে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহান মনির এই নাবিক বলেন, ২০১০ সালেও একই কায়দায় একই কোম্পানির জাহান মনি নামের জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালি দস্যুরা। তখন নাবিকসহ ওই জাহাজে ছিলেন ২৬ জিম্মি। জাহান মনি সোমালি ডাকাতদের ডেরায় নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ২২-২৩টি ছিনতাই করা জাহাজ দেখা গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় বসবাস করা ফেনীর বাসিন্দা মোহাম্মদ ইদ্রিস বর্তমানে ভ্যাগার্ড শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করেন।

মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর জাহান মনি নিজেদের কবজায় নেওয়ার পর সোমালি ডাকাতেরা জাহাজটিকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় ছিনতাই হওয়া আরও ২২-২৩টি জাহাজ। এর মধ্যে একমাত্র জাহান মনি কর্তৃপক্ষ মুক্তিপণের মাধ্যমে আমাদের সুরক্ষিত অবস্থায় মুক্ত করে আনে। এমভি আবদুল্লাহর বেলায়ও সেটা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এমভি জাহান মনি জাহাজে ওই সময় ২৫ নাবিক এবং ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ মোট ২৬ ব্যক্তি ছিলেন। ৫২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয় বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। তবে কোনো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে টাকার অঙ্ক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে কেএসআরএমের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহান মনি এবং সেখানে জিম্মি ২৬ জন নাবিক ও ক্যাপ্টেনকে উদ্ধারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা এমভি আবদুল্লাহ ও তাতে জিম্মি ২৩ নাবিক উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছি। জাহাজ জিম্মিকারীদের কাছ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সর্বশেষ তথ্যমতে ওই জাহাজে থাকা সবাই সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন।’

সূত্র-আজকের পত্রিকা

আইএ

Wordbridge School
Link copied!