• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

অত্যাবশ্যকীয় ৩৩টি ওষুধের দাম কমেছে


নিজস্ব প্রতিবেদক:  আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম
অত্যাবশ্যকীয় ৩৩টি ওষুধের দাম কমেছে

ঢাকা : অত্যাবশ্যকীয় ৩৩টি ওষুধের দাম কমিয়েছে সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটি অতিপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এবং নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানির ওষুধ ও ভিটামিন ওষুধের দাম কমিয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও পাঁচটি ওষুধের দাম কমানো হতে পারে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন শাখা থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এমিটোজেনিক ক্যান্সার কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে বমি প্রতিরোধী অনডানসেট্রন ইনজেকশন ভায়ালে কমেছে তিন টাকা, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ব্যবহৃত সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশনের দাম ১১৫ থেকে ৯০ টাকা করা হয়েছে। নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেফটাজিডিম ইনজেকশনের দাম কমিয়ে ১৫০ থেকে ১০০ টাকা, অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে মন্টিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম পাঁচ টাকা করা হয়েছে। আগে এর মূল্য ছিল ১০ টাকা ৬৭ পয়সা। পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণে ব্যবহৃত ওমিপ্রাজল ক্যাপসুলের দাম পাঁচ পয়সা কমে দুই টাকা ৭০ পয়সা, ব্যথা সারানোর ইনজেকশন কেটোরোলাক ভায়াল ৩০ থেকে কমে ২৩ টাকা হয়েছে। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধী সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ১৭৫ থেকে ১৬০ টাকা করা হয়েছে। সেফুরোক্সিম ইনজেকশনে কমেছে ১০ টাকা। ওমিপ্রাজল ইনজেকশনের দাম ৬৪ থেকে কমিয়ে ৫২ টাকা করা হয়েছে। গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে ব্যবহৃত ইসোমিপ্রাজল ইনজেকশনের দামও ১০ টাকা কমেছে। মেরোপেনের দাম ৪৫০ থেকে ৩৪৩ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ক্লিনিকে তালিকাভুক্ত ৩২টি ওষুধের মধ্যে ২২টির দাম কমেছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটের দাম ৬৮ পয়সা, প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের দাম এক টাকা ১১ পয়সা এবং সালবিউটামল ট্যাবলেট ১৭ পয়সা করা হয়েছে। অ্যালবেনডাজল ট্যাবলেটে কমেছে এক টাকা। ক্লোরামফেনিকল আই ড্রপ ও প্যারাসিটামল সাসপেনশনে তিন টাকা করে কমেছে। অ্যামলোডিপিন ট্যাবলেট দুই টাকা ৫০ পয়সা থেকে দুই টাকা ৩১ পয়সা, মেটফর্মিন ট্যাবলেট তিন টাকা ২৫ পয়সা থেকে দুই টাকা করা হয়েছে।

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এসেনসিয়াল ড্রাগসের যৌথ উদ্যোগে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী সিন্ডিকেট ভাঙার কারণে দরপত্রে অধিক সংখ্যক দরদাতা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অংশগ্রহণ করছেন, ফলে কাঁচামাল আগের তুলনায় কম দামে কেনা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কর্মঘণ্টা ও কর্মদক্ষতা।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান সমকালকে বলেন, ইডিসিএলকে আধুনিকায়ন ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে পুনর্গঠিত ও শক্তিশালী করা হয়েছে। ৭০০ কর্মী কমালেও প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে।

পিএস

Wordbridge School
Link copied!