ঢাকা : মঙ্গলবার রাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় আহত শত শত রোগী ভর্তি ছিলেন হাসপাতালটিতে। এ ছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরাও এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে বর্বর ও অমানবিক এ হামলা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ। এমনকি এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডা।
এমন পরিস্থিতিতে গাজার আল আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। হামলার দায় চাপিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনেরই ওপর। খবর রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, "পুরো বিশ্বের জানা উচিত, গাজার বর্বর সন্ত্রাসীরা গাজার হাসপাতালে হামলা করেছে, আইডিএফ নয়। যারা আমাদের শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারা তাদের নিজেদের সন্তানদেরও হত্যা করেছে।"
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার হাসপাতালে হামলার দায় চাপাচ্ছে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর ওপর। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানান, "তাদের অপারেশনাল সিস্টেমের একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর ছোড়া রকেটের আঘাতে বিস্ফোরণ হয়েছে হাসপাতালে। ইসরায়েলের উদ্দেশে সেটি ছোড়া হলেও, লক্ষ্যচ্যুত হয়ে সেই রকেট গিয়ে হাসপাতালে আঘাত করেছে।“
যদিও এমন অভিযোগকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। আল আহলি হাসপাতালে হামলার ঘটনায় সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে তারা। এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
ফিলিস্তিনের হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহি জানিয়েছেন, "হাসপাতাল হত্যাকাণ্ড শত্রুর বর্বরতা এবং তার পরাজয়ের অনুভূতির পরিমাণ নিশ্চিত করে। হাসপাতালে আক্রমণকে "একটি নতুন মোড়" বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এমটিআই







































