• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩০

আরও প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করলেন ট্রাম্প ও মাস্ক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
আরও প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করলেন ট্রাম্প ও মাস্ক

ঢাকা : সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি সরকারি কর্মীকে। ফেডারেল সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে প্রবীণ সেনাদের দেখভাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিযুক্ত কর্মীরা এ তালিকায় আছেন। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই বরখাস্তের তালিকায় মূলত সেসব কর্মীই রয়েছেন, যাদের চাকরির বয়স বড়জোর এক বছর হয়েছে বা যাদের চাকরির সুরক্ষা কম।

এই বরখাস্তের তালিকায় মূলত সেসব কর্মীই রয়েছেন, যাদের চাকরির বয়স বড়জোর এক বছর হয়েছে বা যাদের চাকরির সুরক্ষা কম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং অন্যান্য মার্কিন গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, এই বরখাস্তের পাশাপাশি প্রায় ৭৫ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা মার্কিন সরকারের ২৩ লাখ বেসামরিক কর্মিবাহিনীর প্রায় ৩ শতাংশ। 

ট্রাম্পের মতে, ফেডারেল সরকারের আমলাতন্ত্রের আকার অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে অপচয় ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ অপচয় হচ্ছে। সরকারের প্রায় ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে এবং গত বছর ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতি ছিল।

ডেমোক্র্যাট দলের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য বলেছেন, ফেডারেল খরচের ওপর আইনসভার যে সাংবিধানিক কর্তৃত্ব আছে, তা ক্ষুণ্ন করছেন ট্রাম্প। যদিও কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা রিপাবলিকানরা ব্যাপকভাবে এই পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করেছেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প তার প্রশাসনে যুক্ত করা নতুন বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েনসি’র প্রধান করেছেন ইলন মাস্ককে। এ ধনকুবের যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বাজেটের এক লাখ কোটি ডলার সাশ্রয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বছর এ বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি ডলার। সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হয় বাজেটের ৫ শতাংশের কম।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাস্কের বল প্রয়োগের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকেরা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কার্যক্রমের ওপর তিনি ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট শুক্রবার এসব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েনসিকে আর্থিক নিরীক্ষার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। বেসেন্টের দাবি, এ বিভাগের কর্মীরা বিভিন্ন সংস্থায় গিয়ে নিরীক্ষার কাজ করছেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!