ঢাকা: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস স্পষ্ট করে বলেছে, একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হবে না। এটি ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত প্রত্যাখ্যানের জবাবে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের দাবি ছিল, হামাস তাদের অস্ত্র সমর্পণে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে হামাস তা অস্বীকার করে বলেছে, তাদের ‘প্রতিরোধ ও অস্ত্র’ বজায় রাখার অধিকার সার্বভৌম রাষ্ট্র না পাওয়া পর্যন্ত থাকবেই।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও বন্দীদের মুক্তির জন্য হামাসের নিরস্ত্রীকরণ দাবি করেছে। তবে গত সপ্তাহে দুই পক্ষের মধ্যকার পরোক্ষ আলোচনা থমকে গেছে।
গত কয়েকদিনে বিভিন্ন আরব সরকার হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়ার আহবান জানিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ইসরায়েল সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না করলে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের লে. জেনারেল ইয়াল জামির শুক্রবার সতর্ক করেছেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য আলোচনা ব্যর্থ হলে গাজায় লড়াইয়ের বিকল্প থাকবেনা।
জিম্মিদের একজন এভিয়াতার ডেভিডের পরিবার তাকে ক্ষুধার্ত রাখার অভিযোগ করেছে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তার নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ চেয়েছে।
স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইসরায়েল সফর করছেন। শনিবার গাজায় বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে তিনি তেল আভিভে সাক্ষাৎ করেন। তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে আংশিক চুক্তি না করে সংঘাত অবসান ও সব জিম্মি মুক্তির উপর জোর দিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি খাদ্য ও ত্রাণ আনতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। বেশির ভাগ হতাহতের জন্য তারা হামাসকে দায়ী করে বলেছে, তবে ইসরায়েল দাবি করেছে তাদের সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর জবাবে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৬০ হাজারের বেশি নিহত হয়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৯৩ শিশু ও ১৬৯ জন অপুষ্টিতে মারা গেছেন।
সূত্র: বিবিসি
ওএফ







































