ঢাকা: গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ইসরায়েলের ৬০০-রও বেশি সাবেক সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
সোমবার (৪ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই চিঠি একই দিন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।
চিঠিতে তারা বলেন, “হামাস এখন আর ইসরায়েলের জন্য কোনো কৌশলগত হুমকি নয়।” চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক মোসাদ প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক, এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন-সহ আরও অনেকে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “ইসরায়েলি জনগণের বড় একটি অংশের কাছে আপনি (ট্রাম্প) এখনও বিশ্বাসযোগ্য। সেই বিশ্বাস আপনার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকারকে একটি সঠিক পথে পরিচালিত করার সুযোগ করে দেয়। যুদ্ধ বন্ধ করুন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন, দুর্দশা থামান।”
এই চিঠিটি এমন সময় প্রকাশ পেলো, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে এবং নেতানিয়াহু সামরিক অভিযান আরও জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন।
গাজায় প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। রক্ত, অনাহার ও আর্তনাদে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে উপত্যকাটি। সোমবার একদিনেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন। এর মধ্যে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে।
খান ইউনিস, দেইর আল বালাহ, গাজা সিটি— সর্বত্র চলছে নিস্তরঙ্গ ধ্বংসযজ্ঞ। এমনকি আকাশপথে নিক্ষেপ করা ত্রাণ সামগ্রীর আঘাতেও প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন শিশু মৃত্যুবরণ করছে।
দাতব্য সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৮৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে, অথচ ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণে প্রয়োজন অন্তত ৬০০টি ট্রাক।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি পূর্ণাঙ্গ মানবিক করিডোর খুলে দেয়, তাহলে রেডক্রসকে জিম্মিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে দেওয়া হবে।
এদিকে মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে— যেসব অঙ্গরাজ্য ইসরায়েলি কোম্পানিকে বয়কট করবে, তারা ১.৯ বিলিয়ন ডলার (১৯০ কোটি) মূল্যের দুর্যোগ প্রস্তুতি তহবিল থেকে বঞ্চিত হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার একটি ফেডারেল কৌশল।
ওএফ







































