গাজার পুরো দখল ইসরায়েলের ওপরই নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা দখল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আপাতত গাজার মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। দখল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি ইসরায়েলের এখতিয়ারেই রয়েছে।
তিনি আরও জানান, খাদ্য বিতরণ এবং অর্থ সহায়তার ক্ষেত্রে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করবে। পাশাপাশি আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকেও সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইতোমধ্যে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে বিষয়টি স্বীকার করেনি দেশটি, যা নেতানিয়াহুর সমর্থকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, আট দিন আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নতুন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করবে। হোয়াইট হাউসও জানায়, একটি নতুন ত্রাণ বিতরণ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। তবে এখনো সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
বর্তমানে গাজায় ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ঘটছে। উপত্যকাটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে ছোট ছোট এলাকায়, যার ৮৬ শতাংশই এখন সামরিক নিয়ন্ত্রিত। বাকি অংশেও অভিযান বাড়লে ফিলিস্তিনিদের জীবন আরও বিপদের মুখে পড়তে পারে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওএফ







































