• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

গাজায় সাংবাদিকসহ প্রাণ গেল আরও ১০৫ জনের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:০১ এএম
গাজায় সাংবাদিকসহ প্রাণ গেল আরও ১০৫ জনের

ঢাকা : দখলদার ইসরায়ের হামলায় গাজার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ আল-সাবরা এলাকায়, যা কয়েকদিন ধরে অবিরত হামলার মুখে রয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩২ জন ছিলেন যারা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখন যুদ্ধের এক "নির্ণায়ক পর্ব"-এর মুখোমুখি, এবং তারা গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে – যদিও বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে নিন্দা চলছে।

“ফিলিস্তিনিরা এখন গাজা সিটিতে এক খাঁচার মধ্যে বন্দি, এবং যত বেশি সম্ভব বিমান হামলা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। তারা যেদিকেই যাচ্ছে, হামলা তাদের পেছন পেছন ধাওয়া করছে,” বলেছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি, যিনি মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে প্রতিবেদন দিচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, “তারা এখন খাদ্য ও সাহায্যের অবরোধের মধ্যেও মারা যাচ্ছে, কারণ তারা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম উপকরণও পাচ্ছে না।”

নির্বিচার হামলা ও অনাহারের দ্বৈত হুমকির মধ্যে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনিরা। গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে আরও ১৩ জন মারা গেছেন, যার ফলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৬১-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে ২২ আগস্ট গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর।

মঙ্গলবার নিহতদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছিলেন যারা খান ইউনুসের পাশে আল-মাওয়াসি এলাকায় পানি সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, যখন ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশুও রয়েছে।

প্যালেস্টিনিয়ান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল অনলাইনে কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যায়, রক্তে ভেজা পানির পাত্র আর শিশুদের মরদেহ পড়ে আছে। উল্লেখ্য, এই অঞ্চলটিকে ইসরায়েল আগে “নিরাপদ এলাকা” বলে ঘোষণা করেছিল।

বাসাল বলেন, “তারা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি সংগ্রহ করছিল… তখন দখলদার বাহিনী সরাসরি তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, জীবন বাঁচাতে এসে তারা নতুন একটি গণহত্যার শিকার হলো।”

গাজা সিটিতে আল-আফ পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গাজার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই সব অপরাধ দখলদার বাহিনীর অপরাধী ও ফ্যাসিবাদী স্বভাবকে প্রকাশ করে।” তারা যুক্তরাষ্ট্রকে এই হামলায় সহায়তার অভিযোগও করেছে এবং একে “আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে “এই নির্মম গণহত্যা” বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক হামলায় আরও দুইজন সাংবাদিক – আল-মানারার রাসমি সালেম এবং ইমান আল-জামলি  নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ২৭০ ছাড়িয়েছে। এটি ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধ বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা।

পিএস

Wordbridge School
Link copied!