আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবারও বাড়ছে পারমাণবিক উত্তেজনা। রাশিয়ার সাম্প্রতিক অস্ত্র পরীক্ষা কার্যক্রমের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রও একই পথে হাঁটতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, “যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু শক্তিধর দেশ, আমাদের মজুদ অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বহুগুণ বেশি।” একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, “প্রয়োজনে ওয়াশিংটনও পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুত।”
ট্রাম্প বলেন, অন্যান্য দেশ যখন নিয়মিতভাবে পারমাণবিক সক্ষমতা যাচাই করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। “আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক রাখতে হলে শক্তির ভারসাম্য রক্ষা জরুরি,”—যোগ করেন তিনি।
যদিও হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি, তবু ট্রাম্পের বক্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে।গবেষণা সংস্থা ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৮৭ শতাংশ এখনো যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দখলে।
মস্কোর হাতে প্রায় ৫,৫০০ এবং ওয়াশিংটনের হাতে রয়েছে ৫,১০০-এরও বেশি পারমাণবিক ওয়ারহেড।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি সত্যিই পরীক্ষা পুনরায় শুরু করে, তাহলে তা ১৯৯২ সালের পর প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা হবে যুক্তরাষ্ট্রে—যা বৈশ্বিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টার জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই ইঙ্গিতকে কেন্দ্র করে। জাতিসংঘের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কমিটি জানিয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের সমর্থকরা বলছেন, রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রেরও “প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি” বজায় রাখা দরকার।
এম







































